দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ.খড়গপুর আইআইটি-র ৬৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কবিগুরুকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের উদ্বুদ্ধ করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ টানলেন তিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘রাস্তা লম্বা হলেও ধৈর্য্য রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই এগোতে হবে। ব্যর্থতাকেও সদর্থকভাবে দেখতে হবে। আত্মত্যাগই সবচেয়ে বড় শক্তি।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্র-ছাত্রীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মানচিত্রে ভারতকে তুলে ধরতে এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি আইআইটি এখন স্বতন্ত্র প্রযুক্তির পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেই ভারতের যাবতীয় সমস্যার সমাধান রয়েছে।’ পাশাপাশি পড়ুয়াদের তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন আনতে গেলে শুরুটাই আবশ্যিক। ভবিষ্যতের আবিষ্কার এখন থেকেই শুরু করতে হবে।’ পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতি মোকবিকায় আইআইটি খড়গপুরের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবারের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ঘরে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
এদিন শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নামাঙ্কিত ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড সায়েন্সের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই হাসপাতাল গড়ে তুলেছে আইআইটি খড়গপুর। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষতেই এই প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস কোর্স চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খড়্গপুরের বলরামপুরে ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ৭৫০টি শয্যা চালু হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, আপাতত ওখানে ৪০০ শয্যা চালু করা হবে। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ইউপিএআমলে প্রস্তাবিত এই হাসপাতালটির নাম দেওয়া হয়েছিল বি সি রায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ।
সম্প্রতি আইআইটির বোর্ড মিটিংয়ে ওই হাসপাতালের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাম বদলে রাখা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স ও রিসার্চ। নাম বদল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।