দেশের সময়, বনগাঁ: সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁর বিধায়ক এবং পৌরসভার কাউন্সিলররা কবে ফিরবেন, কখন ফিরবেন সেই অপেক্ষায় তাকিয়ে রয়েছে গোটা বনগাঁ। এ যেন এক যুদ্ধ জয়ের পরিস্থিতি। তারা ফিরে এলে বিজয় উৎসবে মেতে উঠবেন বিজেপি কর্মীরা, প্রস্তুতি দেখে তেমন ই মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের ।
জানা গেছে, দিল্লি থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা ফিরেছেন বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা। আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ বনগাঁর এক নম্বর রেলগেট থেকে যশোর রোড, স্কুল রোড , কোর্ট রোভ, রায় ব্রিজ হয়ে পায়ে হেঁটে তারা মতিগঞ্জ পৌঁছাবেন। সেখানে বনগাঁবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
এদিকে তার আগে থেকেই মাইক লাগিয়ে নিজেদের বক্তব্য শুরু করেছেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য মতিগঞ্জ এলাকায় ইতিমধ্যেই বিশাল মঞ্চ বাধার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব । সেই মঞ্চ থেকে আগামীকাল বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল নেতারা কী বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা বনগাঁ ।
এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টিকে নিয়ে বনগাঁ র নানা মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেন মন থেকে এটা মেনে নিতে পারছেন না। তবে অত্যাচারিত বনগাঁর সাধারণ মানুষেরা তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের জেলা, রাজ্য নেতৃত্ব চেষ্টা করলেই এইসব কাউন্সিলর এবং বিধায়ককে আটকাতে পারতেন।
কিন্তু তারা সাধারণ মানুষ কিংবা দলের কথা ভাবেন নি। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের দিকে তাকিয়ে তারা কাউন্সিলর এবং বিধায়ককে একপ্রকার দল ছাড়তে বাধ্য করলেন।এতে দলেরই ক্ষতি হবে বলে তাদের অনুমান। অন্যদিকে, বুধবার জেলায় সাংবাদিকদের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বনগাঁর দলত্যাগী কাউন্সিলরদের অনেকেই ফের তৃণমূলে ফিরে আসবেন।
এই খবর প্রচার হতেই এদিন বিকেলে দিল্লি থেকেই ফেসবুক লাইভে আসেন দলত্যাগী কাউন্সিলররা। তাদের মধ্যে সোমাঞ্জনা মুখার্জী, দিপ্তেন্দু বিকাশ বৈরাগী, মনতোষ নাথেরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত অন্যায় এবং অনৈতিক কাজ।
তারা দাবি করেন যে তারা কোনমতেই আর তৃণমূলে ফিরবেন না। বিজেপিকে থেকে বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামী দিনগুলিতে বনগাঁর মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে নিজেদেরকে শামিল করবেন।
বিশ্বজিৎ দাস এ দিন ফোনে দেশের সময় কে জানান, দলকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তাই বনগাঁর মানুষকে স্বৈরাচারী শাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বাকি সবকিছু ভবিষ্যৎ বলবে।
বনগাঁ শহর জুড়ে বাধাঁ হয়েছে মাইক. গোটা শহরের রাস্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে দলীয় পতাকায় শুক্রবার মতিগঞ্জে বিজেপির মঞ্চ থেকে বনগাঁর মানুষের পাশে থাকার অঙ্গিকার নিয়ে,শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন দলের কর্মিরা এমনটাই জানালেন জেলার নেতা দেবদাস মন্ডল৷ -দেশের সময়।