দিল্লির অদূরেই মজুত ছিল অস্ত্র! কাশ্মীরের চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার ৩০০ কেজি বিস্ফোরক ও রাইফেল , জইশ যোগ দেখছেন গোয়েন্দারা

0
4

রাজধানীর একেবারে নাকের ডগায় মিলল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি বিশেষ দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করেছে ৩০০ কেজি আরডিএক্স , একটি একে–৪৭ রাইফেল  এবং বিপুল পরিমাণ গুলি-বন্দুকের কার্তুজ। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তর ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা।

সূত্র জানাচ্ছে, এই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে কাশ্মীরি চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠার কে জেরার পর। কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে রাঠারকে গ্রেফতার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। অভিযোগ, তিনি শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফরিদাবাদে অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানে পাওয়া ওই অস্ত্রভাণ্ডার না কি মুজাহিল শাকিল  নামে আরেক চিকিৎসকের হেফাজতে ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁকেও নজরে রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদের একটি বাড়িতে গোপনে রাখা ছিল এই বিস্ফোরক এবং অস্ত্র।

এর আগেও রাঠারের নাম উঠেছিল সন্দেহভাজন তালিকায়। শ্রীনগরের অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর লকার থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি একে–৪৭ রাইফেল এবং গুলি। সেই ঘটনার পরই তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন-এর আওতায় মামলা রুজু করা হয়। রাঠারের জেরাতেই ফরিদাবাদের অস্ত্রভাণ্ডারের সূত্র মেলে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে হরিয়ানা পুলিশ পুরো অভিযানের তদারকি করেছে।

তদন্তকারীদের সন্দেহ, এত বড় পরিমাণ বিস্ফোরক রাজধানির কাছাকাছি এনে মজুত করার পিছনে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল। কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স দেশের উত্তর প্রান্তে গোপনে পৌঁছে গেল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘আমরা এখনও নিশ্চিত নই, এই বিস্ফোরকের ব্যবহার নিয়ে পরিকল্পনা কী ছিল। তবে উদ্ধার হওয়া পরিমাণ দেখে বলা যায়, লক্ষ্য ছিল বড় কোনও হামলা।’

এই ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিতে। কর্মকর্তাদের মতে, শিক্ষিত পেশাজীবীদের জঙ্গি নেটওয়ার্কে টানার চেষ্টা এখন বাড়ছে। রাঠার সেই উদাহরণ। তাঁর যোগাযোগ এবং আর্থিক লেনদেনের নথিও এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শ্রীনগরে ইতিমধ্যেই পোস্টার লাগানোর ঘটনায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই মামলার সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা পড়ে রাঠারের মুখ। এরপর ট্র্যাক করে তাঁকে ধরা হয় সাহারানপুরে।

এদিকে গতকাল অর্থাৎ রবিবার গুজরাতে বড়সড় নাশকতার চক্রান্ত ভেস্তে দেয় পুলিশ। গুজরাত অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড  অস্ত্র-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আমদাবাদ থেকে। গত এক বছর ধরে এদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল গোয়েন্দারা। অভিযোগ, এরা অস্ত্র সরবরাহের সময় ধরা পড়ে এবং দেশের বিভিন্ন অংশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল।

গুজরাত এটিএস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা। তারা গত এক বছর ধরে নজরে ছিল। অস্ত্র সরবরাহের সময় ধরা পড়ে। ওদের লক্ষ্য ছিল দেশজুড়ে একাধিক জঙ্গি হামলা চালানো।’ জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, তৃতীয়জন অন্ধ্রপ্রদেশের। এখনও পর্যন্ত তল্লাশি চলছে, আরও তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দারা।
 

Previous articleWinter Weather: দুয়ারে শীত!হেমন্তেই ভরপুর ঠান্ডার আমেজ বাংলায়, কবে থেকে পাকাপাকি ফ্যান বন্ধ করতে হবে জানুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here