দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে সীমান্তে কড়া নজরদারি, জল পথেও টহল: দেখুন ভিডিও

0
11

দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি কয়েকগুণ বা়ডানো হলো। বনগাঁ, বসিরহাট সীমান্তের পাশাপাশি দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জলপথে বিএসএফ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শুরু হয়েছে পুলিশের নাকা চেকিং। প্রাইভেট কারের পাশাপাশি পণ্যবোঝাই ট্রাক ও লরিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত হওয়ায় সারা বছরই পেট্রাপোল সীমান্তে নজরদারি চালায় বিএসএফ এবং কাস্টমস। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিস্ফোরণের খবর সামনে আসা মাত্রই নতুন করে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্য, সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও জঙ্গি অনুপ্রবেশ না ঘটে অথবা ভারত থেকে কোনও জঙ্গি বাংলাদেশে পালাতে না পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্থলসীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিটি ট্রাক থামিয়ে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। ট্রাকের কেবিনে এবং গাড়ির তলায় কোনও বিস্ফোরক লুকোনো আছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে। পেট্রাপোল সীমান্তে ঢোকার আগে পেট্রাপোল থানার পুলিশও নাকা চেকিং শুরু করেছে। ট্রাকের সমস্ত কাগজপত্র ভালো করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাক চালক, খালাসিদের কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের পরিচয়পত্র ভালো করে যাচাই করা হচ্ছে। বনগাঁ–বাগদা, যশোহর রোড, বনগাঁ-চাকদা রোডের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বনগাঁ স্টেশন এবং তার সংলগ্ল এলাকায় এ দিন তল্লাশি চালায় জিআরপি এবং আরপিএফ। প্রতিটি যাত্রীর ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করা হয়। স্টেশন চত্বরে রাখা গাড়িতেও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও নাকা তল্লাশি চলছে। মিনাখাঁর মালঞ্চে বাসন্তী হাইওয়েতে, বসিরহাট ইছামতী সেতুর উপরে, স্বরূপনগর, হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় রাস্তার উপরে গাড়ি থামিয়ে চলছে পুলিশের নাকা চেকিং। বসিরহাট মহাকুমায় জল ও স্থল মিলিয়ে মোট ১৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘সারা বছরই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশি নজরদারি থাকে। এখন জরুরি পরিস্থিতিতে সব থানা এলাকাতেই নাকা চেকিং চলছে। সমস্ত গাড়ি তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।’ দেখুন ভিডিও

নজরজারি বেড়েছে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমা এলাকাতেও। দেশের উপকূলীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জলপথে উপকূল রক্ষীবাহিনী, বিএসএফ ও সুন্দরবন উপকূল পুলিশ যৌথভাবে টহলদারি শুরু হয়েছে। এ দিন দুপুরে নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার উদ্যোগে স্পিডবোটে করে বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন নদীপথে টহল দেন পুলিশকর্মীরা।

মাছ ধরার ট্রলারেও তল্লাশি হয়। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করার পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্দেহজনক নৌযান কিংবা অচেনা ব্যক্তিদের দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় উপকূল থানা, ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানাতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের জলসীমা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। সেখান দিয়ে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকা যায়, আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে যাওয়া যায়।

কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্যের কথায়, ‘আমাদের মৎস্যজীবীরা এখন আরও সতর্ক। তাঁরা সর্বদাই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেন। আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে যাতে কোনও অনুপ্রবেশ না ঘটে, সে দিকে কড়া নজর রাখছেন আমাদের মৎস্যজীবীরা।’

সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা সমুদ্র, নদী ও স্থল, তিন দিক থেকেই নজরদারি করছি। কোনও রকম অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Previous articleইস্তফা দিতে বলেছিল দল, উল্টে ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ‍্যকে সরালেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান , গোষ্ঠীদ্বন্দ বলে কটাক্ষ বিজেপির: দেখুন ভিডিও
Next articleDelhi Blast:আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী, চক্রান্তে যারা জড়িত, তারা পার পাবে না ,বার্তা মোদীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here