দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এরপর মঙ্গলবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হাত থেকে তৃণমূল পতাকা তুলে নেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও। পরপর জোড়া দলত্যাগে স্বভাবতই অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলত্যাগী দুই বিধায়ককে নিজেদের ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করতে বলল বিজেপি। তার জন্য এক সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে যোগদানকারী দুই বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বিশ্বজিৎ দাসকে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন।
দুই বিধায়ককে পাঠানো চিঠির বয়ান প্রায় একই। চিঠিতে তৃণমূলে যোগদানের খবরের উল্লেখ করে দলত্যাগী দুই নেতার কাছেই শুভেন্দু জানতে চেয়েছেন, এখন তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান কী। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব না পেলে ধরে নেওয়া হবে তাঁরা দলত্যাগ করেছেন। এই চিঠির সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তৃণমূলের যোগদানের রিপোর্টের কপিও বিশ্বজিৎ ও তন্ময়কে পাঠিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন শুভেন্দু। সেই আবেদন এখনও স্পিকারের বিবেচনাধীন। তন্ময়-বিশ্বজিতের বিধায়ক পদ খারিজের জন্যেও শুভেন্দু স্পিকারের কাছে আবেদন জানাতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।