দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করলেই কালীঘাটের বাড়ি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ঘোষণা করে দেন। মোটামুটি ভাবে এটাই তৃণমূলের ট্র্যাডিশনে পরিণত হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করেছে। কিন্তু এদিন কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি দিদি। ২৯৪ টি আসনে এক লপ্তে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে, নাকি দফায় দফায় হবে তাও স্পষ্ট করেননি। অথচ এদিন মমতা বাড়িতেই ছিলেন। জগন্নাথ দ্বৈতাপতির পৌরোহিত্যে এবং সোশাল মিডিয়ায় কিছুক্ষণ লাইভ করে পুজো, হোম, যজ্ঞ হয়েছে। হাঁড়ি ভরে ভোগ উৎসর্গ হয়েছে দেবতার উদ্দেশে। তার পর বিকেলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর একক সাংবাদিক বৈঠকও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েও সেই বৈঠকে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই নির্ঘণ্ট মোদী-শাহ তৈরি করে দেননি তো! কিন্তু প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করতেই বলেছেন, “যা বলার বলে দিয়েছি। আর কত করব? এক দিনে সব হবে না”।
শুধু তৃণমূল কেন, সব দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়েই বরাবর নানান জল্পনা থাকে। শাসক দল হলে একটা সেই জল্পনায় একটা অনিবার্য বিষয় থাকে—কারা কারা টিকিট পাবেন না। আর সেই শূন্যস্থান কারা পূরণ করবেন?
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে তৃণমূলের ভোট কৌশল সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রশান্তের টিমই আসন ধরে ধরে সার্ভে করেছে। তার পর সেই ইনপুটের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে।
এই সব সাত পাঁচ কারণেই মাস খানেক আগে পর্যন্ত রাজ্য রাজনীতিতে অনেকের ধারনা ছিল, পুরনো বিধায়কদের অনেকেই টিকিট পাবেন না। কিন্তু সেই ধারনা হালফিলে আবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই প্রশ্ন হল,– টিকিট না পেয়ে যদি তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন, তা হলে কী হবে? দল বদলে ফেলার ঝুঁকিও রয়েছে। তাই কিছু লোকের ধারনা যে মমতা এ বার ট্র্যাডিশন ভাঙতে পারেন।
এক লপ্তে হয়তো ২৯৪ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে না। তা হবে ধাপে ধাপে। কিছু কিছু করে।তা ছাড়া বিজেপিও সত্যিই ওত পেতে রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী খোলাখুলিই বলছেন, “তৃণমূল তো আরও ভাঙবে। দল ভেঙে যাবে বলে একেকটা আসনে চার জন পাঁচ জনকে টিকিট দেব বলে গাজর ঝুলিয়ে রেখেছে। টিকিট পাবে তো এক জনই। তার পর? বাকিরা কী করবেন?”