দেশের সময় : দরিদ্র পরিবারে প্রথাগত ছবি আঁকা শেখার প্রশ্নই নেই। প্রতিভা আর মনের মাধুরীতেই বাঙ্ময় হয়ে উঠত তার ছবির খাতা। স্কুলে টিফিন এর সময় যখন অন্যরা খেলতে যেত স্কুল মাঠে তাঁদের বান্ধবীদের সাথে,তখন সে নীরবে স্কুল ঘরের এক কোণে বসে ছবি আঁকতেন আপন মনে৷
এভাবেই একদিন কলেজের চৌকাঠ পেড়িয়ে তাঁর গ্রাম উত্তর২৪পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়ার বাপের বাড়ী ছেড়ে কলকাতার যাদবপুরে ,অন্যের সংসারে পা রাখেন আরেক জীবন যুদ্ধে। অনেক সমস্যা এসেছে,তবু সব কিছুকে পাশে রেখে রং তুলির টানে নিজের জীবনের রং কে ফিকে হতে দেননি কখনও।
একের পর এক ছবি এঁকে চলেছেন এক মনে।তাঁর ছবিতে বার বার উঠে এসেছে নারী এবং প্রকৃতি।
তুলির প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েই কলকাতার প্রায় সব আর্ট গ্যালারীতে হয়েছে তাঁর ছবির প্রদর্শনী।
হ্যাঁ এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম ,তাঁর নাম মোহিনী বিশ্বাস।দেশের সময় কে তিনি জানান,তিনি নিজেকে এবং নিজের কাজকে কখনও প্রচারের আলোয় সে ভাবে আনতে চাননি, তাঁর কথায় এখনও তেমন ছবি আঁকতে পারেন নি ,যে ছবি বর্তমান সময়ে বিখ্যাত হতে পারে,তবে নারীদের শক্তী এবং তাঁদের দুঃখ,কষ্ট,নিয়ে ছবিকরার চেষ্টা করে চলেছেন এক মনে৷ মোহিনীর কথায়, ‘‘নারী ও পাখীর ছবি আঁকতে বেশি ভাল লাগে। তবে প্রকৃতির ছবিও আঁকি।
তুলির টানেই রং ফিরবে তাঁর সাদামাটা জীবনে,আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমনই আশা রাখে দেশের সময়।