দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লোকাল ট্রেনে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাঁরা কামরায় যাত্রীদের ঝগড়ার সঙ্গে পরিচিত। সামান্য কারণে কথা কাটাকাটি থেকে নিমেষেই হাতাহাতি–আকছার দেখা গেছে। মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে এবার মাত্রাটা ছাড়িয়ে গেল। তাও আবার মহিলা কামরায়।
মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে যিনি যাতায়াত করেননি। তিনিও বোধহয় জানেন সেখানকার ভয়ঙ্কর ভিড়ের কথা। এমনই এক ভিড় কামরায় উঠেছিলেন বছর কুড়ির এক কলেজ ছাত্রী। একই কামরায় উঠেছিল ৩৮ বছরের এক মহিলা মাছবিক্রেতা। হঠাৎই ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় মাছওয়ালির। কোনওদিকে না তাকিয়ে সটান মেয়েটির জামা ছিঁড়ে দেয় ওই মাছওয়ালি।
বোরিভালি জিআরপি–র তরফে জানানো হয়েছে ওই ছাত্রী মালাডের বাসিন্দা। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ ঘটেছে এই ঘটনা। মাছওয়ালির বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত মাছওয়ালির নাম জ্যোতি শর্মা।
কান্দিভালি স্টেশনে ট্রেন আস্তে হওয়ার পরেই নামতে যায় জ্যোতি। তখনও পুরোপুরি থামেনি ট্রেন। স্বভাবতই নামার সময় ধাক্কাধাক্কি হয়। জ্যোতির ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার জোগাড় হয় ওই কলেজ ছাত্রীর। তাঁর অভিযোগ, ট্রেন পুরো না থামলেও পিছন থেকে জ্যোতি তাঁকে বারবার ধাক্কা দিচ্ছিল নামার জন্য।
এই নিয়েই শুরু হয় ঝগড়া। আচমকাই জ্যোতি ওই কলেজ ছাত্রীর জামা খামচে ধরে বলে অভিযোগ। টানাটানিতে ছিঁড়ে যায় জামার বোতাম। প্রকাশ্যে এমন ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে যান তরুণী। সাহায্য চাইতে থাকেন আশেপাশের সকলের কাছে। তরুণীর কথায়, ‘সকলের সামনে ওভাবে জামা ছিঁড়ে গেল। এমন ঘটনার জন্য একেবারেই তৈরি ছিলাম না। ভীষণ অপমানিত হয়েছি।’
এদিকে ছাত্রীকে চিৎকার করতে দেখে ছুটে পালাতে থাকে অভিযুক্ত জ্যোতি। তবে পালানোর আগে তরুণীকে শাসিয়ে বলে যায়, ‘তোকে দেখে নেব।’ এরপরেই পুলিশে অভিযোগ জানান ওই তরুণী। স্টেশনের বাইরে থেকেই অভিযুক্ত জ্যোতিকে পাকড়াও করে পুলিশ। একাধিক ধারায় জ্যোতির বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলা।