দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বনগাঁ বিজেপি-র যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার নামে তৈরি হওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। টাকার বিনিময়ে তাঁর নামকরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দলে লোক ঢোকানোর অভিযোগ করে পোস্ট ছড়াল। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঠিক কী পোস্ট হয়েছে ? বনগাঁ বিজেপি -র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ গাইঘাটার তৃণমূল নেতা ধ্যানেশ নারায়ণ গুহকে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দলে ঢুকিয়েছেন এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুর প্রশাসক শঙ্কর আঢ্যকে দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে দলে ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন বলে বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা হয়।
যদিও এই পোস্টটি তিনি করেননি বলে দাবি জানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। তাঁর কথায় , ‘বিধায়কের নাম করে যে কেউ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া আমার একার নয়। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট। ভারতীয় জনতা পার্টিকে কালিমালিপ্ত করবার জন্য এই পোস্ট করা হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে নারাজ বিধায়ক। এপ্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, ‘এই পোস্টের বিষয়ে আমি থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করব না। তবে এই ধরনের পোষ্ট যাতে না হয় সেটা দেখব এবং কারা এই কাজ করেছে সেটাও দেখব।আর সংগঠন নিয়ে আমার কোনও মাথা ব্যথা নেই। কারণ, আমি বিধায়ক। আমি জনগণের সেবক।’
অন্যদিকে, টাকার বিনিময়ে বিজেপি দলে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁর প্রাক্তন পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্ত জল করা পয়সা। আমাদের কাছে কালোবাজারি পয়সা নেই যে, দেড় কোটি টাকা দিয়ে বিজেপিতে ঢুকতে হবে।’ একইসঙ্গে ‘এটা বিজেপি-র অন্তঃকলহের পরিণাম’ জানিয়ে তাঁর দাবি, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দলের জন্য লড়াই করে জেল খাটতে হয়েছে। রাজনীতি করবো না, তবুও অন্য দলে যোগদান করব না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক ছিলাম, আছি, থাকব।’
একইভাবে গাইঘাটার ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ বলেন, ‘ আমি রাজনীতি করি। কোনও রাজনৈতিক দল করতে আমি কাউকে এক পয়সা দিইনি।’ এটা হাস্যকর গল্প। ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ নিজেকে বর্তমানে তৃণমূল সদস্য বলে দাবি জানিয়েছেন। যদিও তিনি বিজেপি দলের কর্মী বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। যদিও বনগাঁ বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব এই পোস্টের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।