দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপর জঙ্গি হামলা হতে পারে, এমনটাই জানা গিয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। হামলা হতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের উপরেও। গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যেই দেশের ৩০টি শহরে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শুধুমাত্র মোদী, শাহ কিংবা ডোভাল নন, হামলা হতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতেও। তাই শ্রীনগর, অবন্তিপোরা, জম্মু, পাঠানকোট ও হিন্দোনের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে এমন ৩০টি শহরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকেও এই ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও গোয়েন্দা সূত্রে যে খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর বিমান মন্ত্রকের নিরাপত্তা বিভাগে একটি চিঠি এসেছে। সেখানে জইশ জঙ্গি শামশের ওয়ানি নামে একজন হুমকি দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার বদলা নেবে তারা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলির বৈঠক চলাকালীনই অন্তত একটা হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে জইশ। আর সবথেকে আগে তাদের টার্গেট বায়ুসেনা ঘাঁটি। এই জঙ্গি হামলা চালাতে পারলে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে ফের সুর চড়াতে পারবে পাকিস্তান, এমনটাই পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন ভারতে হামলা চালাতে ৬০ আফগান জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাক সেনা, গোয়েন্দা রিপোর্টে জারি সতর্কতা
ইতিমধ্যেই গত ১০দিন ধরে আট বার ড্রোনে করে ভারতীয় সীমানায় এ কে ৪৭, গ্রেনেড ও স্যাটেলাইট ফোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পঞ্জাবের অমৃতসরে সেই সব অস্ত্র ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও পঞ্জাব পুলিশ সেইসব অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। অস্ত্র ফেলা থেকে এটা পরিষ্কার যে, যেইসব অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে। কিন্তু তারা কাশ্মীরে আত্মগোপন না করে পঞ্জাবে রয়েছে। নইলে কেন ড্রোনে করে এই অস্ত্র পাঠানো হবে।
সূত্রের খবর, যে দিন থেকে এই ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে, সে দিন থেকে ভারতে আক্রমণের ছক কষছে পাক জঙ্গি সংগঠন। তাদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও পাক সেনা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একাধিকবার বলেছেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তের পরে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা হলে তার জন্য দায়ী থাকবে ভারতই।