দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ম্যাচটা ছিল তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার লড়াই। সেই লড়াইয়ে টেক্কা দিল বায়ার্ন মিউনিখ। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বার্সেলোনাকেঅপদস্ত করার পর লিয়ঁর বিরুদ্ধে বায়ার্নেরএকচ্ছত্র আধিপত্য দেখানোর কথা ছিল। তবে সেটা কিন্তু হয়নি, সেমিফাইনাল হয়েছেসেমিফাইনালের মতোই। তাতে অভিজ্ঞতা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। অভিজ্ঞ দল হিসেবেই ফাইনালে উঠল বায়ার্ন।
ম্যাচে ম্যানুয়েল ন্যুয়ের এগিয়ে এসে কঠিন পরিস্থিতিতে দলের অবধারিত পতন রোধ করেন।
কার্ল একাম্বির শট বারপোস্টে লেগেফেরত না আসলে কী বদলে যেতে পারতম্যাচের ভাগ্য? ম্যাচে শেষে আফসোস করছে লিয়ঁ। রবিবারের ফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন।২০১৩সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর আরওচারবার সেমিফাইনালে উঠেছিল বায়ার্ন।এই সাত বছরে একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। তাই ফাইনালে উঠে তারা রীতিমতো উত্তেজিত।
চেলসি আর বার্সাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর বায়ার্ন এখন এই প্রতিযোগিতার ফেভারিট দল। লিয়ঁ সেই তুলনায় দুর্বল দল। বায়ার্নেরভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার কথা ছিল। সেটা হওয়ারআগে লিসবনে উল্টে দাপট দেখাল সেইলিয়ঁ। যদিও শেষ হাসি হাসল বায়ার্নই।বড়দল আর ‘ছোট দলের পার্থক্য প্রমাণিত হয়েছে এই ম্যাচে। জশুয়া কিমিখের লং পাসডান প্রান্তে পেয়েছিলেন সার্জ গ্যানাব্রি।তখনও গোলের ধারে কাছে ছিলেন না তিনি।কাট করে তিনজন ডিফেন্ডারকে পেছনেফেলে বক্সের সামনে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করলেন। ১৭ মিনিটে লিয়ঁর বললাগল বারপোস্টে, অন্যদিকে ১৮ মিনিটে এগিয়ে গেল বায়ার্ন।
এই গোল খাওয়ার পরে লিয়ঁ একরকমহারিয়েই গেল। ৩৩ মিনিটে ফের গ্যানাব্রিরগোল। বিরতির সময় দু’গোলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। বিরতির পরেও ছন্দ ধরে রাখে বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়নরা। দুই গোলের লিডটপকানো অসম্ভবই ছিল লিয়ঁর পক্ষে।লেভানডোস্কি ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে হেডেগোল বায়ার্নের বড় জয় নিশ্চিত করেন।