দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাংহাই থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে একটি জাহাজ আসছিল কলকাতা বন্দরে। তার নাবিকদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন চিনা। জাহাজটি কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে সাগর দ্বীপের কাছে। বৃহস্পতিবার নাবিকদের থার্মাল স্ক্যানিং হবে। তাঁদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানার জন্য ওই পরীক্ষা হবে বলে স্থির হয়েছে।
জাহাজের নাম জিনিয়াস স্টার। ক্যাপ্টেনের নাম ঝৌ ইয়াংদে। তিনি নিয়মিত জাহাজের প্রত্যেক কর্মীর শরীরের তাপমাত্রা বন্দরের হেলথ অফিসারকে জানিয়েছেন। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ডাক্তার মুকুন্দ কেলকার বৃহস্পতিবার জাহাজটিকে বন্দরে আসতে অনুমতি দেন।
গত এপ্রিল থেকেই একটু একটু করে মহামারির আকার নিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। আর এখন পরিস্থিতি এমন যে এই অসুখ সন্ত্রাসবাদের থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। হুয়ের বক্তব্য, এই ভাইরাস এখন গোটা বিশ্বের কাছে ভয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবাদ যেমন বিশ্বের কাছে চ্যালেঞ্জ তেমনই করোনাভাইরাসও চ্যালেঞ্জ। আর সেটা সন্ত্রাসবাদের থেকেও ভয়াবহ।
হুয়ের প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিশ্বের উচিত এখনই সতর্ক হয়ে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা। এটাকে এক নম্বর শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা। এটাকে সভ্যতার শত্রু হিসেবে মনে করা উচিত বলেও মন্তব্য হু প্রধানের।
এদিনই করোনাভাইরাসের নতুন নামকরণ করেছে হু। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। রোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিড-১৯’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, এমন একটি নাম খুঁজে বের করার দরকার ছিল, যেটি কোনও ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাণী, কোনও ব্যক্তি বা কোনও নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে না বোঝায়। নতুন নামটি নেওয়া হয়েছে ‘করোনো’, ‘ভাইরাস’, ‘ডিজিজ (রোগ)’ এবং ২০১৯ সালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের সময় ধরে ‘১৯’ নম্বরটি থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরে আসে।
চিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪২ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যায় এটি ইতিমধ্যেই ২০০২-০৩ সালের সার্স মহামারিকে ছাড়িয়ে গেছে। গত সোমবার শুধু চিনের হুবেই প্রদেশে মারা গেছে ১০৩ জন। চিনে এক দিনে এত মানুষের মৃত্যু নতুন রেকর্ড বলে দাবি করা হচ্ছে।