দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন আনাজের বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠছে তখন দরিদ্র পরিবারের মধ্যে আনাজ বিলি করলেন বনগাঁর ব্যবসায়ী প্রদীপ দে৷ আবার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিজেই ওষুধ কিনে অসুস্থ রোগীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছেদিচ্ছেন বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল। দেশজোড়া লকডাউনের ফলে যখন অনেকেরই খাবারের পাশাপাশি ওষুধ জোটাতে সমস্যা হচ্ছে তখনই তাঁদের এই উদ্যোগ।
অত্যাবশ্যকীয় হওয়ায় লকডাউনের মধ্যেও খোলা রয়েছে সবজির বাজার। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে অভিযোগ উঠছে আনাজের বাড়তি দাম নেওয়ার। শুধু আনাজ নয়, মাছ-মাংসেরও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।এই সময় তেমনই কিছু মানুষের পাশে বেক্তিগত ভাবে দাঁড়ালেন প্রদীপ বাবু।স্থানীয় ২৫টি দুঃস্থ কাঠ মিস্ত্রী পরিবারের হাতে তুলে দিলেন ৫কেজি করে চাল, আটা, সবজী,কৃষ্ণপদ দাস, রতন সুতর,বলরাম মিস্ত্রীরা এসব পেয়ে দৃশ্যতই খুশি দুঃস্থ পরিবারগুলির পাশে সামর্থ মতো থাকতে পেরে ভাল লাগছে বলে জানিয়েছেন প্রদীপ দে৷
লকডাউনের সময় অবশ্য বেশ কয়েকটি অভিনব উদ্যোগ দেখা গেছে। পুষ্টির অভাব দূর করতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের একটি পরিবার দুঃস্থদের মধ্যে বিলি করেছিলেন অন্য জিনিসের পাশাপাশি একটি করে জ্যান্ত মুরগি। আবার কাঁথির দুই যমজ বোন তাদের জন্মদিনে ৫০টি দুঃস্থ পরিবারকে দিয়েছিল রান্নার মশলা ও দুধ। শিশুদের কথা ভেবেই বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে পুর প্রধান শঙ্কর আঢ্য নিয়ম করে গরুর দুধ বিলি করছেন। আবার অন্য দিকে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল দুঃস্থ পরিবারে অসুস্থদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছেদিচ্ছেন তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে৷
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। সরকারের থেকে তাঁদের রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও ওষুধ, কাঁচা আনাজ থেকে তেল-মশলার জন্য তাঁদের ভরসা করতে হচ্ছে সহৃদয় ব্যক্তি ও সংস্থার উপরে। বনগাঁ কলেজ পাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত নাথ পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা, রাত-দিন তিনি তাঁর সাইকেলে ছুটে বিভিন্ন এলাকার দুঃস্থ রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে সামর্থ মতো ওষুধ কিনে মানুষের সেবায় নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছেন। সুশান্ত নাথ বলেন বনগাঁর ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুবোল চন্দ্র কুণ্ডু বাবু তাঁর পেনশনের টাকাও তুলতে পারছিলেননা ফলে ওষুধ কেনার সমস্যায় পড়েছিলেন, এরকম বহু মানুষ গৃহবন্দিহয়ে রয়েছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভাল লাগছে।