দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকাল থেকেই শুরু হল ইসরোর কাউন্টডাউন ঘড়ি। যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতির পর সোমবার বেলা ২টো ৪৩-এ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ভারতের চন্দ্রযান-২চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। শনিবার রাতেও উৎক্ষেপণের মহড়া সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো।
চন্দ্রযান-২-এ কোনও মহাকাশচারী থাকবেন না। বাহুবলীর ওজন ৬৪০ টন। অন্তিম মুহূর্তে ল্যান্ডারের মধ্যে রোভার থাকবে, বেশ কিছু যন্ত্র থাকবে। তার চেয়েও বেশি থাকবে ভারতীয় বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মান, যাঁদের পালকে ইতিমধ্যেই বসেছে চন্দ্রযান-১, মঙ্গলযান-১-এর সাফল্য।
এক নজরে:
- সকাল থেকেই শুরু হল ইসরোর কাউন্টডাউন ঘড়ি।
- যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতির পর সোমবার বেলা ২টো ৪৩-এ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)।
- শনিবার রাতেও উৎক্ষেপণের মহড়া সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো।
তাই উৎক্ষেপণ একশো শতাংশ নিখুঁত হতে হবে। ইসরো জানিয়েছে, ২২ জুলাই দুপুরে রওনা হয়ে পৃথিবীর চারপাশে পাক খেতে খেতে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াবে চন্দ্রযান। পাঁচটি পাক খাওয়ার পরে ২৩ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৪ অগস্ট সে পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে চাঁদের কক্ষপথের দিকে রওনা দেবে।
২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের কক্ষপথে ঢুকবে বাহুবলী। ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদে অবতরণ করবে বিক্রম নামে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার অংশটি। হিসেব মতো, রওনা দেওয়ার ৫৪ দিন পরে চাঁদে পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে।
ইসরো টুইট করে জানিয়ে দিয়েছে মহাকাশযানে ইউএইচ২৫ জ্বালানি ভরা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। সব কিছুই পরীক্ষা করা হয়েছে।
১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি চন্দ্রযান–২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর প্রান্তে নামবে সেপ্টেম্বরের ৬–৭ তারিখের মধ্যে। এটাই প্রথম মহাকাশযান যেটা চাঁদের পাথুরে অসমতল দক্ষিণপ্রান্তে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে।
দাবি করেছে ইসরো। চন্দ্রযান–২–র সফল উৎক্ষেপণ ভারতকে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর চতুর্থ স্থানে বসাবে যেটা চাঁদে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে। চন্দ্রযান–২–তে আছে বিক্রম নামক ল্যান্ডার, প্রজ্ঞান নামক রোভার এবং একটি অর্বিটার। চাঁদের প্রায় অদেখা দক্ষিণ মেরু নিয়ে গবেষণা চালাবে চন্দ্রযান–২।