গরিবদের ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে,কল্পতরু মমতা

0
415

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশে ভোট। তার আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ রাজ্য বাজেটে যেন কল্পতরু হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যে বাজেট পেশ করলেন তাতে দৃ়শ্যতই একের পর এক চমকের সমাহার। তার মধ্যে আবার উজ্জ্বল হয়ে রইল – ‘হাসির আলো’।

যে প্রকল্পের আওতায় বাংলার ৩৫ লক্ষ গরিব পরিবারকে তিন মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেবে রাজ্য সরকার। এ জন্য বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।


অমিত মিত্র বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “এই প্রকল্পে আমাদের গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের অত্যন্ত গরিব যাঁরা ত্রৈমাসিকে ৭৫ ইউনিট অবধি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন (life line consumer) তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।”
অর্থমন্ত্রীর এই কথা থেকে অনেকে এই ব্যাখ্যাই করছেন যে, যাঁরা তিন মাসে ৭৫ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎ মাশুল কমিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পর এবার ভোটের আগে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবহার নিঃশুল্ক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। শুধু তা নয়, এও সিদ্ধান্ত নেন যে ২০১ থেকে ৪০০ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহারের জন্য ৫০ শতাংশ হারে মাশুল নেবে সরকার। বাকি ৫০ শতাংশ সরকার ভরতুকি হিসাবে দেবে।

দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের গণনা হবে কাল। তার আগে তামাম বুথ-ফেরত সমীক্ষাই জানাচ্ছে যে, কেজরিওয়ালের ওই এক প্রকল্পই সোনা ফলাতে পারে, তা হল বিদ্যুত মাশুলে ভরতুকি। সোমবার রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার পর পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, কেজরিওয়ালের প্রকল্পই অনুকরণ করতে চাইছে বাংলা। যাতে একুশের ভোটে তৃণমূল এর রাজনৈতিক ফায়দা পেতে পারে।

যদিও অমিত মিত্র এ দিন যে হাসির আলো প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তা দিল্লির তুলনায় ধারে ও ভারে দুর্বল। কেজরিওয়াল সরকার মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ছাড় দিয়েছে। রাজ্য বাজেটে বলা হয়েছে তিন মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রিতে দেওয়া হবে।
তৃণমূল নেতাদের মতে, বাংলার সরকারের আর্থিক জোর দিল্লির মতো নয়। তাই দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভরতুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া সরকারের আরও অনেক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প রয়েছে। ফলে সামগ্রিক ভাবেই বিবেচনা করতে হবে।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়া হোক বা ২০০ ইউনিট—এই অন্ধ পপুলিজম রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। সরকারের উচিত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। শিল্প সহায়ক পরিবেশকে উৎসাহ দেওয়া। যাতে মানুষ কাজ পায়, আয় বাড়ে। তখন বিদ্যুতের মাশুল মানুষ মাথা উঁচু করেই দিতে পারবেন।

Previous articleপ্রায় ২৫লক্ষ মানুষকে বার্ধক্যভাতা দেবে সরকার অমিত মিত্র
Next articleরাজ্য বাজেটে নতুন ৬ প্রকল্প, অনেক সুবিধা গরিবদের জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here