দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সামনেই আসছে উৎসবের মরসুম। এই সময়ে প্রচুর মানুষ বাড়ির বাইরে বের হন। আর তার ফলে এই উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সতর্কবার্তা শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধনের মুখেও। কোভিড নিয়ম না ভেঙে দেশবাসীকে উৎসব করার পরামর্শ দিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, কোনও ধর্ম বা ভগবান বলে না বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে জাঁকজমকের সঙ্গে উৎসব পালন করতে। তাই বাইরে ভিড় না করে বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গেই উৎসব পালনের কথা বলেছেন তিনি।
সানডে সংবাদ’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় হর্ষ বর্ধন বলেন, “ধর্মে বিশ্বাস রয়েছে সেটা দেখানোর জন্য প্রচুর সংখ্যায় বাইরে বেরিয়ে জমায়েত করার কোনও দরকার নেই। যদি আমরা সেটা করি তাহলে আরও বেশি নিজেদের বিপদ ডেকে আনব। ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন নিজের লক্ষ্যে মনোনিবেশ কর। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ভাইরাসকে শেষ করে মানবতাকে বাঁচানো। এটাই আমাদের ধর্ম। এটাই গোটা বিশ্বের ধর্ম।”
হর্ষ বর্ধন আরও বলেন, “কঠিন পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোনও ধর্ম বা ভগবান বলে না বাইরে বেরিয়ে জাঁকজমক করে উৎসব করতে হবে। প্যান্ডেল, মন্দির বা মসজিদ সবাই প্রার্থনা করতে যান।”
সামনের শীতের মরসুমে করোনা সংক্রমণের আরও একটা বড় ঢেউ আসতে পারে বলেই সতর্ক করেছেন ডক্টর হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, “ঠান্ডা আবহাওয়া কম আর্দ্রতায় এই ভাইরাস অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। তাই শীতের মরসুমে এই ভাইরাস আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। সেই সময় সংক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।” গ্রেট ব্রিটেনে শীতকালে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই দেশ উৎসব পালনের জন্য তৈরি হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাই সতর্ক করে তিনি বলেন, “ধর্মের থেকে কর্ম বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা উচিত নয় কি? উৎসব পালন করতে গিয়ে কি জীবনের ঝুঁকি নেওয়া উচিত?”
কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ফের একবার কথা বলেন ডক্টর হর্ষ বর্ধন। তিনি জানান, দেশে কারা ভাইরাসের কতটা সংস্পর্শে আসছেন, কাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, কোন বয়সে ভ্যাকসিন আগে দরকার, এই সব বিষয়ের উপর নির্ভর করেই ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার ঠিক করা হচ্ছে।
তবে একটা কোম্পানির পক্ষে গোটা দেশের ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্র অনেকগুলি ভ্যাকসিন ও কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। সবাইকে ভ্যাকসিনের ডোজ যাতে দেওয়া যায় সেদিকেই নজর দিচ্ছে সরকার।