দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এক টানা তিন সপ্তাহ তথা ২১ দিন দেশ লক ডাউন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে এই ঘোষণা শোনার পর গোটা দেশে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ পরক্ষণেই সাধারণ মানুষের কথায় একটা প্রশ্নই এসেছে, এই একুশ দিন খাব কী, দোকান খোলা থাকবে কী, দোকান খোলা থাকলেও চাল, ডাল, ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ফল, সবজির সরবরাহই বা কি অব্যহত থাকবে?
মানুষ যে এই আতঙ্কে ভুগে হুড়মুড়িয়ে কেনাকাটা শুরু করে দিতে পারেন সেই আশঙ্কা সরকারের শীর্ষ কর্তাদেরও রয়েছে। তাই এ দিন জাতির উদ্দেশে বক্তৃতার পর ফের একটি টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। অত্যবশকীয় পণ্য, ওষুধবিষুধ ইত্যাদি সবেরই সরবরাহ অব্যহত থাকবে। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে তা সুনিশ্চিত করবে।”
By converging around shops, you are risking the spread of COVID-19.
No panic buying please.
Please stay indoors.
I repeat- Centre and State Governments will ensure all essentials are available. https://t.co/bX00az1h7l
— Narendra Modi (@narendramodi) March 24, 2020
এখানেই থামেনি প্রধানমন্ত্রী। পরক্ষণে ফের একটি টুইট করেন তিনি। তাতে লেখেন, “দোকানের বাইরে ভিড় জমালে আপনি কিন্তু নিজের বিপদ তথা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকেই ডেকে আনতে পারেন। তাই হুড়মুড়িয়ে কেনাকাটার দরকার নেই। আমি আবার বলছি, বাড়িতেই থাকুন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সমস্ত অত্যবশকীয় পণ্যের যোগান অব্যহত রাখবে”।
প্রধানমন্ত্রী যখন দেশবাসীকে এই আশ্বাস দেন, তখন আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর মন্ত্রক থেকে একটি স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। যে নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে, দেশে লক ডাউন চলাকালীন কী কী পরিষেবা অব্যহত থাকবে। স্পষ্টই বলা হয়েছে যে মুদিখানা, রেশন দোকান, ওষুধের দোকান, শাক সবজি, ফল, মাছ, মাংস ইত্যাদির দোকান খোলা থাকবে। রান্নার গ্যাসের সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে। খোলা থাকবে ওষুধের দোকানও। (কী কী খোলা থাকবে, আর কোন কোন পরিষেবা বন্ধ থাকবে বিস্তারিত পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন)।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী যেদিন জনতা কার্ফুর কথা ঘোষণা করেছিলেন, সে দিন থেকে লক ডাউনের প্রমাদ গুণছিল গোটা দেশ। তাই অনেকেই ইতিমধ্যে খাবারদাবার, ওষুধ ইত্যাদি মজুত করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই সব মানুষের সংখ্যা হাতেগোণা। দেশে গরিব, দিন আনা মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। সরকার তাদের কাছে চাল, ডাল, ওষুধ পৌঁছনোর কাছ এই ২১ দিন ঠিক মতো করতে পারে কিনা সেটাই বড় পরীক্ষা।