দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কাউকেই ছাড়ছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে তো আক্রমণ শানাচ্ছেনই। শুক্রবার বিকেলে জনতার অনুরোধে নাম না করে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ, ছত্রধর মাহাতোকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রামনগরে রোড শো ছিল বিজেপির। সেখানে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন শুভেন্দুই। সেই রোড শো শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তৃতা করছিলেন শুভেন্দু। হঠাৎ পাশ থেকে এক বিজেপি কর্মী চিৎকার করেন, দাদা ওখানে মদন এসেছে!
যেন শুনতেই চাইছিলেন দাদা কী বলেন! যা চাইছিলেন হয়তো সেটাই পেয়ে গেলেন!
নাম শুনেই শুভেন্দু বলেন, “ওদের কথা বলবেন না! সব চোরগুলাকে নামিয়েছে! কে সারদায় সাড়ে তিন বছর জেল খেটেছে, কে একুশ মাস জেল খেটেছে, কে ইউএপিএ-তে দশ বছর জেলে ছিল, সেই কানকাটা, নাককাটগুলোকে বের করে দিয়েছে।”
গত কয়েকদিনে মদন মিত্রকে অতি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এমন কি শুভেন্দু যেখানে যেখানে সভা করতে যাচ্ছেন তার ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই সভা করতে যাচ্ছেন মদন। নেতাইয়ের পর আজ কেশপুরে গিয়েছে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। অন্যদিকে কুণালও বিভিন্ন ভাবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তো দাগছেন। আর ছত্রধর তো রয়েইছেন। এদিন মঞ্চের পাশ থেকে একটি প্রশ্ন পেয়েই তিন জনকে বিঁধতে চাইলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা।
এদিনও শুভেন্দুর কর্মসূচিতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তা ছাড়া এমন একটি জায়গায় শুভেন্দুর রোড শো ছিল তা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ রামনগর হল অখিল গিরির বিধানসভা কেন্দ্র। যে অখিল গিরি বরাবরই অধিকারীদের বিরুদ্ধ শিবিরের লোক বলে পরিচিত। সম্প্রতি সাংগঠনিক রদবদলে শিশির অধিকারীকে জেলা সভাপতি পদ থকেও সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, যুব জেলা সভাপতি করা হয়েছে অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকে। নন্দীগ্রামে মিটিং করতে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, “আগে তো সুপ্রকাশদের বিরুদ্ধে লড়ে দেখাও, তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়তে আসবে!”
শুভেন্দু এদিন দিঘা থেকে বলেন, “আমি এখানকার কয়েকজন তৃণমূলের নেতাকে চিনি। যারা ছেড়া চটি পড়ত, ভাঙা সাইকেল চাপত, একটা বিড়ি তিনবার নিভিয়ে খেত তারা এখন কোটি কটি টাকার মালিক। এইসব মালঝালদের চলে যেতে হবে।”
রামনগর বিধানসসভা কাঁথি লোকসভার মধ্যে পড়ে। এদিন শুভেন্দু বলেন, “লোকসভায় শিশিরবাবুর মতো বট গাছকে আপনারা পাঁচ হাজার মার্জিনে বেঁধে রেখেছিলেন। বিধানসভায় ২৫ হাজারে রামনগর চাই।” দিঘার হোটেল কর্মচারী, ফুটপাতের হকারদের বিরুদ্ধে কী ভাবে পুলিশি জুলুম চলছে সে কথাও তুলে ধরেন নিজের বক্তৃতায়।