দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক। বন্ধ করা হল জরুরি পরিষেবা। মঙ্গলবার আচমকাই রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগুন লাগে। ধোঁয়া চোখে পড়া মাত্রই খবর দেওয়া হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে পৌঁছয় দমকলের দু’ টি ইঞ্জিন। হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে একজন রোগী ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁকে সরিয়ে আনা হয় এদিন। তবে কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় প্রশাসনও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন রাত পৌনে ন’টা নাগাদ হঠাৎই কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগুন লেগে যায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় দমকল-পুলিশে। এদিন হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা জানাজানি হতেই রোগী ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যদিও ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।
এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে ”ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোভিড আক্রান্ত রোগী ছিলেন না। রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখার ক্ষেত্রে ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডটি ব্যবহার করা হয়।” যদিও দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। গোটা ঘটনাটি কী ভাবে ঘটল, তা বোঝার চেষ্টা করছেন দমকল আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশও।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে আগুন লেগে গিয়েছিল। গত ২৯ জানুয়ারি ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওই হাসপাতালের হাসপাতালের রাধারানি কোভিড ওয়ার্ডে আগুন লেগে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। এরপরেই দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মণ্ডল নামের এক রোগী। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজিত চক্রবর্তী বলেন, ”ঠিক কী ভাবে কোন সময়ে আগুন লেগেছিল সেটা এখনও বোঝা যায়নি। কিন্তু, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যেহেতু ওই ওয়ার্ডে অক্সিজেন চলছিল এবং বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি ছিল সেইজন্যে আগুন অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হয়। যার মধ্যে অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, মৃতার অক্সিজেন গ্যাস চালু থাকার কারণে তিনি অত্যন্ত দ্রুত অগ্নিদগ্ধ হন।”