দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিয়ে শুক্রবার সকালেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে শীর্ষ আদালত বলেছে, পরীক্ষা নিতেই হবে। যদি কোনও রাজ্য ইউজিসির গাইডলাইন মেনে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে না নিতে পারে তাহলে মহামারী আইন অনুযায়ী পিছোতে পারে। তবে তা করতে হবে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করেই।
দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভার্চুয়াল সভামঞ্চ থেকেই সে ব্যাপারে রাজ্যের পরিকল্পনা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে মমতা বলেন, “আপনারা এক সপ্তাহের মধ্যে সূচি ঠিক করে ইউজিসিকে জানিয়ে দিন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। পুজোর আগে কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় তা ঠিক করতে হবে। যতটুকু না করলেই নয় ততটুকু করতে হবে। তবে মিনিমাম টুকু আমরা করব। ম্যাক্সিমাম নয়।”
এদিনের সভা থেকে ইউজিসির বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মমতা। কাগজ দেখিয়ে বলেন, ইউজিসি ২৯ এপ্রিল চিঠি দিয়ে বলেছিল পরীক্ষা নেওয়ার দরকার নেই। সেই সময়ে অনেক রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। তারপর আবার জুলাই মাসে চিঠি পাঠিয়ে বলছে পরীক্ষা নিতেই হবে। আমরা পড়েছি মহা জ্বালায়!”
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেখুন কী ভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যায়। অথবা পরীক্ষার্থীদের বাড়ির কাছে সেন্টার করে কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।”
নিট-জয়েন্ট নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান মমতা। এদিন টিএমসিপিএর প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে নেত্রী বলেন, “ট্রেন চলছে না, কারখানা চলছে না, বহু লোক ওয়ার্ক ফর্ম হোম করছেন, এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের উপর চাপ কেন?” তিনি আরও বলেন, “ছেলেমেয়েরা যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে না পৌঁছতে পারেন, তাঁদের যদি একটা বছর নষ্ট হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে?”
সনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে সাত অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন আগেই ঠিক করেছিল জয়েন্ট-নিট নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হবে। ইতিমধ্যেই তা হয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন মমতা। বলেন, রাজ্যের তরফে সেই পিটিশনে সই করেছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চরিয়ে মমতা বলেন, গায়ের জোরে ছাত্রছাত্রীদের উপর সবকিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”