দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ দু’দিনের সফরের শেষ লগ্নে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পিএম কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় আট কোটির বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মোট ৪৩ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও কাটমানি নেই, সিন্ডিকেট নেই, কোনও মিডলম্যান নেই। যখন টাকা সোজাসুজি পৌঁছে যাচ্ছে, টাকা কামানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না, তখন কেন সেই প্রকল্প করতে দেওয়া হবে। তাই বাংলায় এই প্রকল্প চালু হয়নি।”
এর পরে পরেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা তুলে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারতের স্বীকৃতি দেবে কিনা জানি না। যদি দেয়, তাহলে এই প্রকল্পে অনেক গরিব মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। যাঁদের অর্থ নেই, তাঁরাই সুবিধে পাবেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এইসব নীতি নির্ধারকদের সৎ বুদ্ধি দিন। পশ্চিমবঙ্গের বিকাশের জন্য কেন্দ্র সবসময় চেষ্টা করছে।”
The Central Government is leaving no stone unturned for West Bengal’s development.
I urge the West Bengal Government to participate in Ayushman Bharat and PM Kisan Yojana. Let there be no politics on development issues. pic.twitter.com/p1Ym6mmL7r
— Narendra Modi (@narendramodi) January 12, 2020
কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার পরে এই দুই ইস্যুতেই ফের রাজ্যকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, রাজ্যের উন্নতির জন্য কোনও কিছুতেই দ্বিধা দেখাচ্ছে না কেন্দ্র। একই সঙ্গে আবেদন জানান, বাংলায় রাজনীতি বন্ধ হোক উন্নয়ন ইস্যুতে। চালু হোক আয়ুষ্মান ভারত ও প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার মতো প্রকল্প।
এদিন পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক সেরেছেন মমতা। সেই বৈঠক সেরে বের হয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই টাকা চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁর দলের বিরোধিতার কথাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
তবে ওই বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ করেননি মোদী। বরং রবিবার প্রথমে বেলুড় মঠ এবং পরে নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে দুই বিষয়েরই জবাব দিয়েছেন। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁর সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন বেলুড় মঠে। আর কলকাতার মঞ্চ ব্যবহার করে উন্নয়ন ইস্যুতে এক হাত নিয়েছেন রাজ্যকে। এবার টুইট করেও সেই কাজই করলেন। যাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যে সরকারের।