দেশের সময় ওযেব ডেস্কঃ করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝেই আজ রাজ্য জুড়ে চলছে শেষ দফার ভোট গ্রহণ। রোজ যেভাবে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ভোট মিটলে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এর মাঝে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য স্বতন্ত্র উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন।
কলকাতা শহরে আজ থেকে আগামী চার দিন অত্যাবশ্যকীয় ছাড়া অন্যান্য সমস্ত পণ্যের বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। এদিন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সিডব্লিউবিটিএ প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার। বলা হয়েছে, চাঁদনী চক, প্রিন্সেপ স্ট্রিট, এজরা স্ট্রিট, ক্যানিং স্ট্রিট, ম্যাংগো লেন-সহ আরও বেশ কিছু মার্কেট চার দিন বন্ধ থাকবে। বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা।
ক্যানিং স্ট্রিট বন্ধ হওয়া মানে কলকাতার সবচেয়ে বড় ওষুধের পাইকারি বাজার মেহেতা বিল্ডিং বন্ধ হওয়া। এই মুহূর্তে জেলায় জেলায় ওষুধের চাহিদা তুঙ্গে। বিশেষত, প্যারাসিট্যামল, মাল্টি ভিটামিনের চাহিদা বেড়েছে কোভিড পরিস্থিতিতে। হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন খুচরো দোকানদার এখান থেকেই ওষুধ কিনে নিয়ে যান। সেক্ষেত্রে মেহেতা বিল্ডিং বন্ধ থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। যদিও মেহেতা বিল্ডিংয়ে কর্মরত অনেকেই কোভিড আক্রান্ত বলে খবর।
যদিও পোস্তার মতো কিছু বাজার, যেখানে খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায়, তা এই চারদিন খোলাই থাকবে। এ বিষয়ে সুশীল পোদ্দার বলেছেন, “আমাদের সমস্ত অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আমরা অনুরোধ করছি বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তারা যেন দোকান বাজার সব বন্ধ রাখে। এতে করোনার শৃঙ্খল ভেঙে যাবে।” তবে এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার ভোটের দিন বলে এমনিতেই মার্কেট বন্ধ রাখতেই হত। আর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শনি ও রবিবারেও মার্কেট বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ফলে শুধু মাঝের শুক্রবারটাই বন্ধের বাড়তি ঘোষণা করেছে অ্যাসোসিয়েশন।
কেন এই সিদ্ধান্ত? সুশীল পোদ্দার বলেছেন, “আমাদের মধ্যে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোভিডের শৃঙ্খল ভাঙাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
এছাড়া অতিমারী পরিস্থিতিতে শনি রবি বাদে রোজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখার কথা জানানো হয়েছে ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। শনি ও রবিবার সমস্ত মার্কেট বন্ধ থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম অভ্যেস করার উপরেও জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিডব্লিউবিটিএ-র জেনারেল সেক্রেটারি রাজেশ ভাটিয়া বলেছেন, “সমস্ত ব্যবসায়ী এবং খরিদ্দারের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক যাঁরা মাস্ক পরছেন না তাঁদের ফ্রি-তে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হবে।”