দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলিতে বিছানা-কম্বল দেওয়া বন্ধ করছে রেল কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে আপাতত এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাতানুকুল কামরাগুলিতে প্রয়োজনে এসি-র তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হবে যাতে কম্বল বা চাদরের দরকার না পড়ে। খুব প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের বিছানা অথবা কম্বল দেওয়া হবে না।
মানুষের থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বেশি। তাই দেশজুড়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বড় জমায়েত, খুব বেশি মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার কথাই বলা হচ্ছে। ট্রেন সফরে বিশেষত বাতানুকুল কামরাগুলিতে যে বিছানা ও কম্বল দেওয়া হয় যাত্রীদের তার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আগেও নানা প্রশ্ন উঠেছে। তারপর একাধিক মানুষ ব্যবহার করেন ওই কম্বল। পরিষ্কার করা হলেও জীবাণুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে আপাতত এচি কোচগুলিতে কম্বল ও বিছানা দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে রেল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দরকার পড়লে এসি-র তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হবে যাতে কম্বলের দরকার না পড়ে।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। ইতিমধ্যেই কর্ণাটক ও দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে দিল্লি ও হরিয়ানা সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে পঞ্জাব, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁয় তালা পড়ে গেছে। জরুরি অবস্থা জারি করে আগামী ৩১ মার্চ অবধি সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্জাব সরকার। এক কর্মীর ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেঙ্গালুরুতে বন্ধ হয়ে গেছে ইনফোসিসের অফিস।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করেছে। অনেক হাসপাতালে চালু করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। কোনও জায়গায় করোনা সন্দেহ হলেই তাকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার জনসাধারণকে জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত৷
শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, আগামী ১৬ মার্চ অর্থাৎ সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই নির্দেশিকা।