দীপ বিশ্বাস,পেট্রাপোল: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে লকডাউনের মধ্যেই পেট্রাপোল সীমান্তের স্থল বন্দর দিয়ে রফতানির কাজ শুরু করলেও ফের তা ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷
রবিবার সকালে বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের পেট্রাপোল সীমান্ত লাগোয়া জয়ন্তীপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সহ এই স্থল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের শতাধিক শ্রমিক এদিন যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন৷ তাঁদের দাবি সীমান্তের ওপারে বেনাপোলেও বহু মানুষ করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে, এই অবস্থায় ওপার বাংলার শ্রমিকরা এপার বাংলার কাজে যুক্ত থাকলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াবে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতেও৷ তাই রফতানি হোক বা আমদানি, কাজ শুরু হলে করোনা সংক্রণ কোন ভাবেই ঠেকানো যাবে না, ফলে এলাকাবাসীদের স্বার্থে বন্ধ রাখতে হবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্য।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান ,পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, বনগাঁ শহর সহ ছয়ঘরিয়ার সমস্ত গ্রাম এখনও পর্যন্ত করোনা মুক্ত রয়েছে,ফলে স্থানীয় মানুষের দাবি তাঁরা কোন ভাবেই কোন অবস্থাতেই চাইছেননা সীমান্ত পেরিয়ে করোনা সংক্রমণের আঘাতে তছনছ হোক মানুষের জীবন। তাঁরা রুজি-রুটি হারিয়েছেন ঠিকই তবে মানুষের জীবন বাঁচাতে বদ্ধপরিকর৷তাঁদের কথায় সরকারের নির্দেশ যেমন আছে থাক আপাতত এভাবেই কোন অবস্থাতেই সীমান্তে বহির বাণিজ্যের কাজ চালু রেখে মানুষের জীবন বিপন্ন করা যাবে না।