দেশের সময়: করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষ কে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বনগাঁ ব্লক প্রশাসন। বনগাঁর ব্লক অফিসের পাশাপাশি এই ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিসে খোলা হচ্ছে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম।
বনগাঁ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মৃগাঙ্ক সাহা রায় জানান, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমনের মাত্রা অনেক বেশি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। অনেকেরই সামান্য সর্দি, কাশি, জ্বর হলে স্থানীয় ওষুধের দোকান বা গ্রামীণ চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন না। শরীর একটু ঠিক হয়ে গেলে সেই ব্যক্তি বাইরে বেরিয়ে পড়ছে আর নিজের অজান্তেই অন্যদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না। পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এইভাবে চলতে থাকলে কিছুতেই করোনার সংক্রমণ আটকানো যাবে না। তাই প্রথমেই করোনা সন্দেহ করে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগে সহযোগিতা করার জন্য ব্লক অফিসের পাশাপাশি প্রতিটি পঞ্চায়েতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
সেখানে ফোন করলেই তো সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’বনগাঁ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অর্ঘ দত্ত জানান, ‘বনগাঁ ব্লক অফিসের পাশাপাশি এই ব্লকের অধীন ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বক্ষণের জন্য করোনা বিষয়ে পরামর্শ, সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিটি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।’ সাধারণ মানুষ একটু সচেতন হলেই করোনার বিরুদ্ধে সহজে মোকাবেলা করা যাবে বলে মনে করেন বিডিও।