দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যেও দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে আরও ২৪০ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই নিয়ে দেশে জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬৩৭। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। তবে আশার কথা এর মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩২ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে, ৩০২ জন। এর পরেই কেরল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪১। এর পরে যথাক্রমে রয়েছে তামিলনাড়ু (১২৪), দিল্লি (১২০), উত্তরপ্রদেশ (১০৩)-এর মতো রাজ্য।
নিজামউদ্দিনের জামাতে যোগ দেওয়া লোকজন সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছেন। ফলে সেই বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ওই জামাতে যোগ দেওয়া এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, নিজামউদ্দিনে যোগ দেওয়া এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলেই এ ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।নতুন আক্রান্তদের একটা বড় অংশ দিল্লিতে নিজামউদ্দিনের জামাতে অংশ নেওয়া মানুষজন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। দ্বিতীয় স্থানে গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব ও তেলঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তবে তেলঙ্গানায় দিল্লির নিজামউদ্দিন ফেরত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেই খবর রাজ্য সরকার চেপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তবে এর মধ্যে বুধবার সকালে বেলঘরিয়ার আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু অন্তর্ভূ্ক্ত করা হয়নি। এ রাজ্যেও নিজামউদ্দিন ফেরতদের শনাক্ত করে হোম আইসোলেশন বা কোয়রান্টিনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।