দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন। ফলে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭। সেইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ জন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫৩।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একথাই জানালেন চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে কাজের রূপরেখা ঠিক করার জন্য চিকিৎসকদের নিয়ে যে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার, সেই কমিটিরই সদস্য ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়।
করোনা আক্রান্ত যে ১৮ জন প্রথম দফায় ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৯ জনের দ্বিতীয় রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। সম্ভবত আগামীকালই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানালেন ডঃ অভিজিৎ চৌধুরী। আরও কিছু দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাঁরা।
দিন কয়েক আগেই বাংলার তিন জন করোনা-আক্রান্ত সেরে ওঠার পরে ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। এই তিন জন হলেন, কলকাতার বাইপাসের বাসিন্দা যিনি প্রথম করোনা আক্রান্ত বিদেশ-ফেরত তরুণ, বালিগঞ্জের দ্বিতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিদেশ-ফেরত তরুণের বাবা এবং হাবরার স্কটল্য়ান্ড-ফেরত তরুণী। আক্রান্ত হওয়ার পরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরা। আইসোলেশনে চলছিল চিকিৎসা ও সাপোর্টিভ কেয়ার।
নির্দিষ্ট সময় পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় করোনাভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদের তিন জনের। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েক দিন পরে ফের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক বার টেস্ট করেই এই স্বস্তি মিলেছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। তাই ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
নির্দিষ্ট সময় পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় করোনাভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদের তিন জনের। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েক দিন পরে ফের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক বার টেস্ট করেই এই স্বস্তি মিলেছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। তাই ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
সব ঠিক থাকলে আরও ৯ জন সেরে উঠে বাড়ি ফিরে যাবেন আগামী কালই। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায়, চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাড়া দিচ্ছেন তাঁরা।
কিন্তু একইসঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর। মৃত্যুও বেড়েছে। মোট আক্রান্তের সঙ্গে মৃত্যুর হিসেব তুলনা করলে দাঁড়ায়, এ রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার প্রায় ১৪ শতাংশ এখনও পর্যন্ত। সমস্ত আক্রান্ত রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে নানা মহলে।