দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়। গতকাল করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি। আজ রাত ১০ টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ। তারপরেই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
গতকাল করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। এদিন রাত ১০টা নাগাদ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ফোন করে তাঁকে জানান, তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। তারপরেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে যান তিনি। তাঁর বাড়ির লোকেদের এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে খবর।
বিশেষ সূত্রে জানাগিয়েছে,মন্ত্রী বলেছেন “তাঁর উপসর্গ নেই। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।”
এদিকে বৃহস্পতিবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন রাজ্যের আরও এক বিধায়ক। হাওড়ার সঞ্জীবনী হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটের (৫২)।
জানাগিয়েছে দিন দশেক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন বিধায়ক গুরুপদ মেটে। করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তারপরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় বাঁকুড়ার ওন্দা হাসপাতালে। পরে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় তাঁকে হাওড়ার ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সবরকম চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ডাক্তারদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে সন্ধে ছ’টা পাঁচ মিনিটে প্রয়াত হন তিনি।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পলতার তিনবারের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন এই প্রয়াত নেতা। তারপরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস। বূহস্পতিবার মৃত্যু হল ইন্দাসের বিধায়কের। অর্থাৎ এখনও অবধি শাসক দলের তিন বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে।
এর আগে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনাভাইরাসে। অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপরে জটু লাহিড়ি, খলিলুর রহমান, শুভেন্দু অধিকারীর মতো শাসকদলের একের পর এক নেতা মন্ত্রীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীও।