দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে কীভাবে তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে, তা নিয়ে শনিবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি অফিসারদের নির্দেশ দেন, দ্রুত ওই ভ্যাকসিন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা করার সময় দেশের বিশাল বিস্তৃতি ও বৈচিত্রের কথা খেয়াল রাখতে হবে। গত ৪৮ ঘণ্টায় কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়ে দু’বার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মোদী বলেন, ভ্যাকসিন ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেকটা ভোটের মতো পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ সরকারের প্রতিটি দফতর ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনকে যুক্ত করা হবে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আবেদন জানান, উৎসবের মরসুমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁর মতে, ভারতে করোনা আক্রান্তের হার কমছে ঠিকই, কিন্তু তাতে আত্মসন্তুষ্টির কোনও কারণ নেই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে ১৮ অক্টোবর শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৭৪,৩২,৬৮০। সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে মোট ১,১২,৯৯৮ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫,২৪,৫৯৫ জন। ভারতে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭,৯৫,০৮৭।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২,২১২ জন। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮৩৭ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭০,৮১৬ জন। ভারতে দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা এখন অনেকটাই বেশি। দেশে এখন সুস্থতার হার ৮৭.৭৮ শতাংশ। আর মৃত্যুহার ১.৫২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড টেস্ট করা হয়েছে ৯,৯৯,০৯০ জনের।
বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমেরিকা ও ব্রাজিল। অন্যদিকে কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। বিশ্বে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩,৯৫,৮৬,৯০৯। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মোট ১১,০৯,১৩০ জনের। আর সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৯৬,৫৮,৫৭৫ জন।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশে কোভিড সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত এবং কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মুম্বই এবং পুণে এই দুই জায়গা হল মহারাষ্ট্রের অন্যতম করোনা হটস্পট। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। মূলত এই ৬ রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।