দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার নাকি তরুণদের ওপরই জোর দিতে চায় তৃণমূল। প্রবীণ, অসুস্থদের টিকিট দেওয়া নিয়ে দ্বিধা রয়েছে দলের অন্দরেই। এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশন বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই নতুন নির্বাচনী কমিটি গড়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে এই কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের প্রার্থী তালিকা থেকে অনেক বিধায়ক বাদ যেতে পারেন। তাঁদের মধ্যে বর্ষীয়ান ও অসুস্থ বিধায়কদেরই বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তুলনামূলক ভাবে এ বার অনেক নতুন মুখের উপর আস্থা রাখতে চলেছে দল। অভিজ্ঞদের সঙ্গে নতুনদের মিশ্রণ থাকতে পারে এ বারের প্রার্থী তালিকায়। বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২০৭। সবাইকে যে টিকিট দেওয়া হবে না সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনীতির কারবারিরা। সোমবার বৈঠক শেষে দমদমের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘‘দলের নির্বাচনী কমিটি বৈঠক করে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা প্রকাশ্যে বলার বিষয় নয়। বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেত্রীকেই প্রার্থী তালিকা প্রস্তুতি করতে বলেছে।’’
সূত্রের খবর, এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। এক, প্রার্থীদের বয়স। দুই, প্রার্থীদের ভাবমূর্তি। এই নীতি মেনেই কালীঘাটে চূড়ান্ত হচ্ছে প্রার্থী তালিকা। আর তা করতে গিয়ে অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের নামও বাদ পড়তে পারে। আবার অনেকের কেন্দ্র বদল হতে পারে।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। তার পরেই নতুন নির্বাচনী কমিটি গড়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার সেই কমিটিই স্থির করেছে, আসন্ন নির্বাচনে তরুণদেরই এগিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২০৭। সবাইকে যে টিকিট দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এবার বাদ যেতে পারেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী, বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্কর ও হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার। এঁদের প্রত্যেকের বয়স ৮০ বছরের বেশি। মমতাকে চিঠি লিখে আগেই ভোটে লড়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ধমান দক্ষিণের প্রবীণ বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।
তবে লড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। জানা গেছে, বালিগঞ্জেই প্রার্থী হতে চান তিনি।
সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনিও এই নির্বাচনে লড়বেন, বলে জানিয়ে দিয়েছেন। রাসবিহারীতেই প্রার্থী হতে চান তিনি।
তৃণমূলে দিন কয়েক আগে যোগ দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, রাজ চক্রবর্তী। এঁদের সকলকেই টিকিট দেওয়া হবে বলে খবর। যদিও এক শীর্ষ জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেত্রীকেই প্রার্থী তালিকা প্রস্তুতি করতে বলেছে।’ তাই প্রার্থী তালিকা নিয়ে শেষ কথা যে নেত্রীই বলবেন, তা আর বলতে হয় না।