দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুজোর আগে বড় ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, পুজোর সময় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। এবারেও সেই অর্থ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুজো উপলক্ষ্যে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলি বা ক্লাবগুলি ৫০ হাজার টাকা করে পাবে। এছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দু’ মাসের টাকা একসঙ্গে ঢুকবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷
রাজ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চার জেলায় এখনই কার্যকর করা যাচ্ছে না। এদিন নবান্ন থেকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নভেম্বর থেকে সেখানে প্রকল্পের টাকা পাবেন আবেদনকারীরা। এই চার জেলা হল, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া। নির্বাচন বিধির কারণে এই ব্যবস্থা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি জানান, এই চার জেলায় আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সেই তারিখ ঘোষণা করেছে। কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা এবং উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এই চার জায়গায় উপনির্বাচন হবে ৩০ তারিখ। এই কারণেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এখন এই সব জেলায় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে কবে এই টাকা পাবেন চার জেলার মানুষ?
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভোট মিটলে নভেম্বর মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাঠানো হবে কোচবিহার দুই ২৪ পরগনা আর নদিয়ার মানুষকে। সেসময় তাঁরা সেপ্টেম্বর থেকে যা বকেয়া টাকা থাকবে সবটাই একসঙ্গে পাবেন।
বাকি জেলাগুলিতে অবশ্য সেপ্টেম্বর থেকেই যথারীতি টাকা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, পুজো কমিটি গুলিকে যে টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল তাতে কোনও বাধা নেই, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সেটি পূর্বঘোষণা তাই রাজ্য সরকার সেই টাকা দিতে পারবে।
কেউ বঞ্চিত হবেন না।’ উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর পুজোর পর শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা এবং খড়দা এই চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর নির্বাচনী নিয়মবিধি মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে সাধারণ মানুষকে পুজো দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। নিজের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরুন।’