এবছর বিশ্ববাংলার গামছা গায়ে জড়িয়ে পুরীর রথ টানলেন সেবায়েতরা

0
823
অশোক মজুমদার

রুপোর দোলায় চড়ে তিন ভাই-বোন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথের সামনে হাজির প্রধান সেবায়েত পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব। সোনার ঝাড়ু হাতে তিনিই জগন্নাথের রথের পথ পরিমার্জন (ছেরা পহরা) করবেন। সোমবার পুরীর রথের রশিতে টান পড়ার আগের মুহূর্তে

রথযাত্রা ঘিরে লোকারণ্য মহা ধুমধাম….
পুরীর মন্দিরে প্রতি বছরের মতো এদিন সাজো সাজো রব। কিন্তু কোভিডের জন্য এবারে ভক্তবিহীন রথের রশি টানলেন শুধুমাত্র তাঁর সেবায়েতরা। মজার বিষয় এই প্রথমবার সেবায়েতদের পরিহিত গামছাগুলি ছিল প্রত্যেক টিই বিশ্ববাংলার গামছা।

কলকাতার স্টল থেকেই ওঁরা নিয়ে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের সৃষ্টি এই বিশ্ববাংলা। যা আজ রীতিমতো একটি ব্র্যান্ডনেম। নবান্নে দিদির সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে বা উনি যেখানেই যান না কেন, বিশ্ববাংলার বড়ো বড়ো প্যাকেটে বাংলার শিল্পীদের তৈরি নানা জিনিস উপহার হিসেবে তুলে দেন। ‘বাংলার ঘরের শিল্পকর্ম বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হোক’…. এই ছিলো ওনার স্বপ্ন। যা আজ অনেকাংশেই সফল।এবছর রথযাত্রার মত উৎসবে পুরীর সেবায়েতদের বাংলার আভরণ পরা দেখে খুব ভালো লাগছে। আজ সত্যিই মনে হচ্ছে “এগিয়ে বাংলা.

মনে হলো, এটাও জগন্নাথ প্রভুরই চমৎকার!” আগামী ২০ জুলাই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার উল্টোরথ যাত্রা ৷ ২১ জুলাই জগন্নাথদেবের সোনাবেশ ধারণ। ২২ জুলাই নীলাদ্রী বিজের আচার অনুষ্ঠান শেষে ফের মন্দিরে রত্নসিংহাসনে ফিরবেন জগন্নাথ।

Previous articleআগামী ১৪ বা ১৫ জুলাই জেলা সংগঠনে রদবদলের ইঙ্গিত, আই-প্যাক – এর রিপোর্ট কার্ডই ভরসা তৃণমূলের
Next articleবাংলাদেশি জঙ্গিদের এ রাজ্যে বোমা বানানোর ডেরা তৈরির পরিকল্পনা ছিল, তদন্তে এনআইএ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here