দেশের সময়, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা থেকে শুরু করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় এসে যে ভাবে এনআরসি-এনআরসি নিয়ে মাতামাতি করছেন, তা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ নিয়ে বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে এনআরসি ও এপিআর-এর ফারাফ বলুক কেন্দ্র।’
এনআরসি-এনপিআর নিয়ে সরব তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন,‘আবার এনআরসি করবে বলছে ৷ আর বিজেপির এনআরসির ধাক্কা খেতে হবে না। এনপিআর খায় না মাথায় দেয়! এনআরসি ও এনপিআরের তফাত কী? আগে সেটা বলুক ৷ ওদের এই কথায় ভুলবেন ৷ পাশেই তো অসম ৷ ওখানে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম এনআরসির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ রাজ্যবাসীকে অভয় দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এনআরসি, এনপিআর নিয়ে কাউকে ভয় পেতে হবে না।
মমতা জলপাইগুড়ির সভায় বিজেপি নেতাদের চম্বলের ডাকাতের সঙ্গেও তুলনা করেছেন। বলেন, ‘বিজেপির থেকে আর বড় চোর হয় না। বিজেপি চম্বলের ডাকাত।’ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সাতটি চা-বাগান পুনরায় খোলা হবে। কেন্দ্র ওই চা-বাগানগুলি অধিগ্রহণ করবে। কিন্তু, কিছুই করা হয়নি। এখন বিজেপি চাকরি দেবে বলছে। আসলে ওরা প্রতারণা করছে।’
রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য সম্প্রতি বিজেপির চালু করা প্রতিশ্রুতি কার্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানে তো প্রতারণা। বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেব, দিয়েছে? আর বাংলায় এখন ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছে, আর ভোটের পর হাওয়া! কেন্দ্র বেকারের সংখ্যা ৪০% বাড়িয়েছে ৷ বলেছিল ক্ষমতায় এলে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব, কেউ পেয়েছেন?
উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরে এবিপিসি মাঠের জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘হিন্দু নয়, কুৎসা ও হিংসার ধর্ম তৈরি করেছে বিজেপি। মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করাই ওদের কাজ।’ বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে আসাদউদ্দিনের -কেও টেনে আনেন তৃণমূল নেত্রী। টিএমসি সুপ্রিমোর কথায়, ‘বিজেপি হায়দরাবাদের একটি দলের হাত ধরেছে। সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।’ মমতার অভিযোগ, ‘সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে বিজেপি ওদের-কে টাকা দিয়েছে। বিহারের ভোট তা প্রমাণ করেছে।’