দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২০৩০ সাল। এটাই টার্গেট ভারতীয় রেলের। এর মধ্যেই দেশের রেল ব্যবস্থায় পুরোপুরি সবুজায়ন হয়ে যাবে। বিশ্বে প্রথম পুরোপুরি দূষণহীন রেল পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে ভারতীয় রেল। আর সেটা শেষ হয়ে যাবে আগামী এক দশকের মধ্যে। জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
করোনা পরিস্থিতির কারণে খুবই সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছে রেল। কিন্তু তার মধ্যেই একের পরে এক মাইলস্টোন টপকেছে ভারতীয় রেল। দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন চলেছে এই সময়ে। এবার লক্ষ্য, রেলের কার্বন নির্গমন শূন্যের নীচে নামিয়ে আনা। আর সেটা করা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। এই ‘সবুজ’ সফরের ঘোষণা করার আগে বুধবার রিনিউয়েবল এনার্জি সেক্টরের বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী।
বুধবার পীযূষ গয়াল টুইটে লেখেন, “২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের রেলওয়ের কার্বন নির্গমন শূন্যে নেমে আসবে। ভারতীয় রেলে প্রতি বছর সফর করেন প্রায় ৮০০ কোটি যাত্রী এবং প্রায় ১২০ কোটি টন পণ্য পরিবহন হয়। সম্পূর্ণ সবুজায়নের পথে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে এমন বিশাল ব্যাপ্তির রেল হিসেবে ভারতই হবে বিশ্বের প্রথম।”
By 2030 we will be a net-zero railway, our carbon emission will be zero.
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) August 26, 2020
Indian Railways transports nearly 8 billion passengers and 1.2 billion tonnes of freight every year.
Ours will be the world's first Railways of this scale to go green. pic.twitter.com/x08SmseRrP
বিশ্ব রেল পরিষেবার চিত্রে ভারতের স্থান উপরের দিকেই। আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরেই রয়েছে ভারত। চতুর্থ বৃহত্তম রেল-নেটওয়র্ক ভারতের। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে সব জোন মিলিয়ে রেল ট্র্যাক রয়েছে প্রায় ৬৭,৩৬৮ কিমি। এই বিশাল পথে ৭,৩০০টি স্টেশন রয়েছে। নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় রেলের কার্বন নির্গমন ২০১৪ সালে ছিল ৬.৮৪ মিলিয়ন টন।
বুধবার পীযূষ গয়াল এমনটাও জানান যে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতীয় রেল একটা মাইলস্টোন পার করবে। রেল হয়ে উঠবে ১০০ শতাংশ ডিজেল-ফ্রি। গোটা রেল নেটওয়র্কই চলবে ইলেকট্রিকে। আগেই রেল কয়লা ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের পরে পীযূষ গয়াল জানান, ভারতীয় রেল সব কোল প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেবে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে রেলবোর্ডের সদস্য ঘনশ্যাম সিং জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ শেষ হয়ে গেলে ট্রেনের গড় গতিও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।