দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উপনির্বাচনের তিন আসনেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদরে প্রথমবার জিতল ঘাসফুল শিবির। করিমপুরেও জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। উপনির্বাচনে ৩-০ ফলাফলকে একদিকে ‘মানুষের আশীর্বাদ’ ও ‘বিজেপি-র ঔদ্ধত্যের ফল’ বলে ব্যাখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক ফোন-সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিন আসনেই ভোটারদের ধন্যবাদ-জ্ঞাপন করতে আমি নিজে যাব। মানুষের আশীর্বাদেই তিন কেন্দ্রে সবুজ ঝড়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এই ফলাফলের মাধ্যমেই মানুষ বলেছে ১-২-৩, বিজেপি-কে বিদায় দিন।’ আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে ‘সব ধর্মের মানুষই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। তাঁদের কাছে বিজেপি মানেই ঔদ্ধত্য।’
গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘গোটা দেশে সর্বনাশী খেলা খেলছে বিজেপি। নাগরিক বিল-এন আর সি নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিভেদের খেলা চালাচ্ছিল। তবে ওদের ঔদ্ধত্য, অহংকার বাংলায় চলবে না। বাংলার মানুষ বুদ্ধিমান। তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এন আর সি ইস্যুতে বিজেপি-কে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি থেকে বাংলার মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা আমাদের কাছে সাহায্য চাইছেন। আমরা কিন্তু এ রাজ্যের মানুষের একমাত্র বন্ধু। আমদের মানবিক সরকার।’
নাম না করে রাজ্যপাল বিতর্কেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ওদের দলের একজন মাউথপিস নেতা, যাঁর কোনও সৌজন্যবোধ নেই। আমি তো একটা পদে রয়েছি। তাকেও সম্মান করে না। মুখে হাসি নেই, নমস্কার পর্যন্ত করেন না। এদিকে, জনগণের বিধানসভায় বসে আমাকে আক্রমণ করে গেলেন। আমরা বরাবরই বিরোধীদের প্রতি সৌজন্য দেখিয়েছি।’
এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের আরও দুই বিরোধী দল বাম-কংগ্রেসকে একহাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস ‘বিজেপি-কেই সাহায্য করছে’ বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। জাতীয় স্তরে তিনি যে ‘কংগ্রেসকে সমর্থন’ দেন, সেটা প্রদেশ নেতৃত্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।