দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ উল্টোডাঙা স্টেশন থেকে অটো চালকেরা হাঁক দিচ্ছেন বুর্জ খালিফা ২০ টাকা বুর্জ খালিফা ২০ টাকা!
শ্রীভূমির থিম এবার এতটাই সাড়া ফেলেছে যে করোনা বলে যে একটা ব্যাপার এখনও উবে যায়নি সেটা ঠাওরই করা যাচ্ছে না। থিক থিক করছে ভিড়। সবার চোখ আকাশে। কলকাতায় দাঁড়িয়ে বুর্জ খালিফার গায়ে মায়াবী আলোর রোশনাই চেটেপুটে নিচ্ছে আম বাঙালি। কিন্তু সেই ঝকমকি আলোতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে পাইলটদের।
আকাশের বুক চিরে শ্রীভূমিতে মাথা তুলেছে বুর্জ খালিফা। যা অনেক দূর থেকেও চোখে পড়ছে। সূর্য ডোবার আগে থেকেই ভোর পর্যন্ত কলকাতার বুর্জ খালিফার গায়ে চলছে নানা রঙের লেজার আলোর খেলা। আর এতেই ককপিটে বসা পাইলটদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে খবর। যদিও অনেক দর্শণার্থী জানাচ্ছেন, আলোর রঙ বদল হলেও লেজার লাইট আর জ্বালানো হচ্ছে না।
দমদম বিমানবন্দর থেকে সন্ধের পর বিমান নিয়ে যে পাইলটরা উড়ছেন বা যাঁরা নামছেন তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে বলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক পাইলট। সূত্রের খবর গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক পাইলট এই অভিযোগ জানিয়েছেন এটিসিতে।
যদিও এ ব্যাপারে শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের অন্যতম মাথা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন অভিযোগ পাইলটরা জানিয়েছেন বলেও তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন রাজ্যের দমকলের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
এমনিতেই বিমানবন্দরের কারণে দক্ষিণ দমদম, মধ্যমগ্রাম-সহ লাগোয়া বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকায় বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধি রয়েছে। কারণ এই এলাকাগুলি একেবারেই বিমানবন্দরের নাকের ডগায়। শ্রীভূমি থেকেও এয়ারপোর্টের দূরত্ব খুব বেশি নয়। যদিও এই কাঠামো অস্থায়ী। তবে বিমানবন্দর সূত্রের খবর উচ্চতার জন্য যে বিশেষ সমস্যা হচ্ছে তা নয়। মূল সমস্যার কারণ ঝকমকি আলো। এখন দেখার পাইলটদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নয়। কারণ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। এখানে শয়ে শয়ে যাত্রী, বিমানকর্মীর নিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয এক অটো চালকের কথায় সুজিত দার এবারের পুজোর জন্য অনেক বেশি যাত্রী পেয়েছি, কথায কথায এক যাত্রী বলছিলেন বিমান থেকে নাকি শুধু বুর্জ খালিফার আলো দেখা যাচ্ছে আর তাতে বোঝা যাচ্ছে বাংলাকে অনেকটাই উপড়ে নিয়ে গেছে সুজিত দার পুজো৷