দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ আগুনে পুড়ে ছাই হতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের ১২০০ হেক্টর জঙ্গল! বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে দু’হাজারের বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। শেষ দু’দিনেই প্রায় ১০০টি দাবানলের খবর মিলেছে এ শৈল রাজ্যে।
দমকলের ২০০টি ইঞ্জিন নিরন্তর কাজ করছে৷ তবে বিশেষ লাভ হচ্ছে না৷ ডিভিশনাল ফরেস্ট সূত্রে জানাগেছে, কয়েকশো দমকলকর্মীর চেষ্টায় উৎসস্থলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন৷ ২৫০ হেক্টর অরণ্য বাঁচানো সম্ভব হয়েছে৷
নতুন নয়, বছর বছরই ঘটে এমনটা। দাবানলের গ্রাসে ছাই হয়ে যায় বিস্তীর্ণ বনভূমি। কিন্তু এই বার যেন মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে তীব্রতা। বন দফতর জানিয়েছে, মে মাসের প্রখর গরমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে এখনও পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা। সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুমায়ুন অঞ্চলের জঙ্গলগুলির। চলতি বছরে শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২০০ হেক্টর বন।
উত্তরাখণ্ডের বন দফতর সূত্রে জানাযায়, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের তরফে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে হেলিকপ্টার পাঠানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা সম্ভব হয়নি ধোঁয়ার কারণে। আগামী কয়েক দিনও পরিস্থিতি একই থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতি বছরের মতোই এ বছরও গ্রীষ্মের শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দাবানল শুরু হয়। কিন্তু ২১ মে-র পর থেকে সেটা চরম আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই আগুনের জেরে রাজ্যের পারদ ক্রমশ চড়ছে। উত্তরাখণ্ড পাহাড়ি রাজ্য হলেও তাপমাত্রার পারদ চল্লিশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে ভরসা একমাত্র অঝোর বৃষ্টি। কিন্তু আগামী অন্তত এক সপ্তাহ বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দাবানলের জেরে যে শুধু অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে তা-ই নয়, পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, তীব্র উত্তাপে আরও দ্রুত গলে যেতে পারে উত্তরাখণ্ডের হিমবাহগুলিও। ফলে উত্তর ভারতে বন্যার পাশাপাশি, নদীর জলে ব্যাপক দূষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত আলমোড়া জেলা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে সরকারি তরফে৷ পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷