দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : ফি বছর ঘূর্ণিঝড় সামলাতে সামলাতে তাঁর সরকার বিপর্যয় মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও খ্যাতি পেয়েছে। এ বার প্রশাসনিক আচরণেও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বেনজির পদক্ষেপ করলেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল হয়েছে ওড়িশায়। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই রাজ্যই। কিন্তু নবীনবাবু জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের থেকে কোনও অর্থ সাহায্য চাইবেন না তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য শুক্রবার ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগে তিনি ওড়িশায় পৌঁছন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান নবীন পট্টনায়েক। তার পর তাঁর সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে নবীনবাবু ব্যাখ্যা করেন, ঘূর্ণিঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য তাঁর সরকার ইতিমধ্যে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানিয়েছেন নবীনবাবু।
পরে টুইট করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ইয়াসের জন্য যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ওড়িশায় এসেছেন, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। তবে কোভিডের অতি মহামারীর জন্য যে হেতু গোটা কেন্দ্রের সরকারের উপর এমনিতেই অনেক বোঝা রয়েছে, তাই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য কোনও অর্থ সাহায্য চাইছি না। আমাদের যে রসদ রয়েছে তা দিয়েই আমরা সে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
Thank you Hon’ble PM @narendramodi ji for visiting #Odisha in the aftermath of #CycloneYaas. Apprised him about the large scale devastation caused by the cyclone and steps taken by the State Govt ahead of the cyclone and the ongoing restoration efforts. #OdishaFightsYaas pic.twitter.com/RG1dQpLcp0
— Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) May 28, 2021
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ওড়িশায় গত প্রায় সতেরো বছর ধরে নবীনবাবু এক সুশাসনের পরিবেশ তৈরি করেছেন। এক সময়ে আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই অনগ্রসর ছিল এই রাজ্য। কিন্তু পরিকাঠামো, বিপর্যয় মোকাবিলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণে এখন দেশের অগ্রগণ্য রাজ্য হয়ে উঠেছে পূর্বের এই রাজ্য। নতুন শিল্প স্থাপন হচ্ছে। এমনকি খেলাধূলা সংক্রান্ত পরিকাঠামো তৈরিতে ওড়িশা যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে অচিরে ভুবনেশ্বর স্পোর্টস সিটি হয়ে উঠতে পারে।
শীর্ষ আমলাদের কথায়, নবীনবাবুর রাজনৈতিক আচরণ বরাবর সুস্থ ও পরিশীলিত। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের একাধিক নীতি নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। কিন্তু তা যেমন ঠিক, তেমনই সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর স্বার্থে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে বরাবর সমন্বয় করে চলেছেন। শুক্রবারও নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সর্বভারতীয় স্তরে নয়া উচ্চতা অর্জন করে ফেললেন তিনি।