দেশের সময় ওয়েব ডেস্ক:আমলাশোল গেছেন? কার কার রেশনকার্ড নেই, ২ টাকা কেজি দরে চাল পেতে কেউ বাকি আছে কিনা খোঁজ নিয়েছেন?’ জেলায় রেশন দোকান কত। ৩৫৯টি দোকান আছে জেনে প্রশ্ন করেন, ‘ব্লকে ব্লকে যান? সোমবার ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের দপ্তরের সভাকক্ষে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে জেলা খাদ্যনিয়ামকের খোঁজ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে জানতে চান এই সব প্রশ্নের উত্তর৷ তারপরেই নির্দেশ দেন, ‘জেলাশাসকের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করুন। রেশন দোকানগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট করে সেগুলি কী রকম চলছে দেখুন। উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা জানুন। দপ্তরের কর্মী আধিকারিকদের নিয়ে প্রতি মাসে একবার বৈঠকে বসুন। কোন ব্লকে, কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে রেশনের কী সমস্যা, তা জানুন। সমাধান করুন। না পারলে জেলা প্রশাসনের সাহায্য নিন। আইসিডিএস, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে মিড–ডে মিল ঠিকঠাক চলছে কিনা দেখুন। কোনও গরমিল বা সমস্যা থাকলে তা নোট করুন। মেটাতে না পারলে আমাদের জানান।’ রেশন দোকানে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করতে হবে। ২ টাকা কেজি দরে চাল পেতে কেউ বাকি আছে কিনা খোঁজ নিতে হবে। বাড়াতে হবে নজরদারি। আদিবাসীদের বোঝাতে হবে, তাঁরা কী কী সরকারি সহায়তা পান। প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার গরিব মানুষের রেশন ব্যবস্থাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে।এদিন তিনি বলেন, ‘রেশনকার্ড যেন উপভোক্তা ছাড়া অন্য কারও হাতে না থাকে। সরকার প্রতি মাসে ২ টাকা কেজি দরে এবং প্রতি সপ্তাহে জঙ্গলমহলের গরিব পরিবারগুলোকে ৮ কেজি চাল এবং ৩ কেজি গম দেয়। অর্থাৎ একটি পরিবার প্রতি মাসে যা চাল–গম পান তা যথেষ্ট। অভিযোগ উঠেছে, কোনও কোনও রেশন ডিলার ওজনে ৫০ গ্রাম কম দেন। কেটে নেন। গরিবের চাল–গম দেওয়ার নাম করে যারা এসব করবে, তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেবে সরকার।’
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনও শোনা যাচ্ছে, যাঁরা মাসে ওই ৫৫ কেজি চাল–গম পাচ্ছেন, তাঁদের কেউ কেউ তা বিক্রি করে দিচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। সরকার আপনাকে খাওয়ার জন্য দিচ্ছে। পেট ভরে খান। এটা বিক্রি করবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘২০–২৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনে ২ টাকা কেজি দরে দেওয়া হচ্ছে। বাকি টাকা ভর্তুকি দেয় রাজ্য সরকার। এখানে কারও ভাগ বসানোর অধিকার নেই!’ মমতা বলেন, ‘আমি ছোট বয়সে দুঃখকষ্টের দিন পেরিয়ে এসেছি। মানুষের কষ্ট শুনলেই তাই ছুটে আসি। পাশে দাঁড়াই। জঙ্গলমহলের সব আদিবাসী মানুষকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করেছি। স্বাধীনতার পর কোনও সরকার এই কাজ করেনি। সাড়ে সাত বছর ধরে আদিবাসী, লোধা, শবরদের খাওয়ার কোনও অভাব রাখেনি মা–মাটি–মানুষের সরকার।’ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,যে আদিবাসীদের বোঝাতে হবে, তাঁরা কী কী সরকারি সহায়তা পান ৷ সাড়ে সাত বছর ধরে আদিবাসী,শবর,লোধাদের পাশে আছে তৃণমূল সরকার সেটা বোঝাতে হবে এটাই ছিল এদিনের মূল কথা৷ এখন দেখার কতটা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় প্রশাসন।
মমতা বলেন, ‘আমি ছোট বয়সে দুঃখকষ্টের দিন পেরিয়ে এসেছি। মানুষের কষ্ট শুনলেই তাই ছুটে আসি। পাশে দাঁড়াই। জঙ্গলমহলের সব আদিবাসী মানুষকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করেছি। স্বাধীনতার পর কোনও সরকার এই কাজ করেনি। সাড়ে সাত বছর ধরে আদিবাসী, লোধা, শবরদের খাওয়ার কোনও অভাব রাখেনি মা–মাটি–মানুষের সরকার।’ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,যে আদিবাসীদের বোঝাতে হবে, তাঁরা কী কী সরকারি সহায়তা পান ৷ সাড়ে সাত বছর ধরে আদিবাসী,শবর,লোধাদের পাশে আছে তৃণমূল সরকার সেটা বোঝাতে হবে এটাই ছিল এদিনের মূল কথা৷ এখন দেখার কতটা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় প্রশাসন।