পার্থ সারথি নন্দী, বনগাঁ: ত্রাণের দাবি নিয়ে গ্রামবাসীরা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের কালুপুর পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিবপুর,ধর্মপুর, কালিতলা,প্রতাপনগর,হানিডাঙ্গা সহ জিয়ালা গ্রামের প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিতে শুরু করে৷বিক্ষোভকারীদের দাবি উত্তর ২৪ পরগনার কালুপুর পঞ্চায়েতের বহু গ্রাম আমপান এবং কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়েগেছে, সরকারি ত্রাণের ত্রিপল থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী কিছুই জুটছে না তাঁদের কপালে।
এক বিক্ষোভকারী চিরঞ্জিৎ মণ্ডল বলেন কালুপুর পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি সরকার তৃণমূলের সদস্য এবং পার্টির পরিচিত মুখ দেখে তবেই ত্রাণ বিলি করছেন,যুবনেতা বিশ্বজিৎ দাস, পঞ্চায়েতের গৌর মণ্ডল(সুপার ভাইজার) তারই নির্দিষ্ট তালিকা তৈরী করে ত্রাণ বিলি করছেন ফলে সাধারণ মানুষ যারা ঝড়ে ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা কিছুই পাচ্ছেননা।
এদিন বিক্ষোভ দেখাতে এসে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সুষমা মাঝি,শম্পা সেন, যমুনা মাঝির মতো কয়েকশো বাড়ির দুগর্ত মহিলারা। শম্পা সেনের কথায় আমরা কি জানোয়ার! প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন সকলেই৷আমাদের প্রতি চরম অবহেলা, জুটছে না খাবার বা জলও! পশুদের থেকেও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। এমনই অভিযোগ উঠল পঞ্চায়ের বিরুদ্ধে।আর এক বিক্ষোভকারী যমুনা মাঝি বলেন আমাদেরকে দীর্ঘ সময় রোদ্দুরে লাইনে দাঁড়করিয়ে রেখে সুপার ভাইজার তাঁর নিজের লোক বিশ্বজিৎ দাসকে দিয়ে অন্যদেরকে ত্রিপল দিয়ে দেওয়ার পরে বলেন যারা লাইনে আছে তাঁদের নাম কাটা গেছে, কারণ আমরা নাকি বিজেপি করি৷ যদিও প্রশাসনের দাবি, ওই এলাকায় গণবন্টনের কোনও সমস্যা নেই।
কালুপুর পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি সরকার বলেন কিছু কিছু অভিযোগ আসছে,সেগুলো আমরা অবশ্যই খোঁজ খবর নিয়ে তাঁদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার দ্রুত ব্যাবস্থা করছি৷ধাপে ধাপে এলাকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস জীববীদের কেও ত্রিপল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷একথা বিক্ষোভকারীদেরকে বোঝানোর চেষ্টাও করছেন প্রধান।
বিক্ষোভ থামিয়ে শুধু প্রতিশ্রুতি টুকু সম্বল করে যদিও এদিন দুর্গতরা ফিরলেন ফের খোলা আকাশের আশ্রয়স্থলে ৷চিএটা কি প্রকৃত বদলাবে এই প্রশ্ন চিহ্নটাই দানা বেঁধেছে ঝড়ে সব খোয়ানো মানুষগুলোর মনে৷