আফগানিস্তানের কান্দাহারে তালিবানি হামলায় নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক

0
478

পিয়ালী মুখার্জী,কলকাতা:‌ মার্কিন সেনাবাহিনী সরতেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে আফগানিস্থান । ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী। একাধিক জায়গায় আফগান সেনার সঙ্গে সংঘর্ষও শুরু হয়েছে। আর সেরকমই একটি সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারালেন পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি। এমনটাই জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের পক্ষ থেকে।

দিন কয়েক আগেই তাঁর গাড়ি তালিবানি হামলার মুখে পড়ে। কোনও মতে প্রাণে বেঁচে যান। টুইটারে লেখেন, ‘‌ভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে, বেঁচে গিয়েছি’‌। কিন্তু ভাগ্য দ্বিতীয়বার আর সহায় হল না। সেই তালিবানের সঙ্গে সংঘর্ষেই মারা গেলেন ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি। 

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হয়ে পেশার খাতিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের স্পিন বলদাক এলাকায় কাজ করছিলেন দানিশ। মাঝমধ্যেই আফগান সেনা-তালিবানদের সংঘর্ষের ছবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের ছবি তুলেও পাঠাচ্ছিলেন। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের পক্ষ থেকে টুইটে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে কান্দাহার জেলার স্পিন বলদাক এলাকায় সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হয়ে ছবি তোলার কাজে নিযুক্ত ছিলেন দানিশ সিদ্দিকি। কিন্তু সেখানেই একটি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ভারতীয় এই চিত্র সাংবাদিক।

 রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ছবি তুলে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন সিদ্দিকি। রয়টার্স সংবাদ সংস্থার হয়ে চাকরি করতেন। দিন কয়েক আগে তালিবানি হামলা বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে যান তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে কান্দাহারে তালিবানি হামলায় প্রাণ যায়।  কান্দাহারের মূল বাজার এলাকা স্পিন বোলডাক দখল করে তালিবান। তা পুনরুদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে আফগান বাহিনী। বাহিনীর সঙ্গেই ছিলেন সিদ্দিকিও। বৃহস্পতিবার চলছিল লড়াই।

প্রথমে তালিবানদের ধারালো অস্ত্র ছুটে আসে সিদ্দিকির দিকে। তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে হাতে আঘাত লাগে। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। এর পর ওই এলাকায় এক দোকানির সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখনই ফের হামলা হয়। তাতে সিদ্দিকি এবং আর এক আফগান সেনা অফিসারের প্রাণ যায়। 

Previous articleবাংলায় সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু
Next articleDaily Horoscope: তুলা রাশির প্রাপ্তিতে বাধা,কন্যা রাশির জাতকের মামলায় জয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here