দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: আর কোনও গা-ছাড়া মনোভাবের সুযোগ নেই। এবার পুরোপুরি লকডাউন। সারা দেশের সমস্ত কিছু বন্ধ। তিন সপ্তাহের জন্য সব বন্ধ। “হিন্দুস্তানকে বাঁচানোর জন্য, আপনাকে বাঁচানোর জন্য, ঘর থেকে বেরনো বন্ধ।”– বললেন মোদী।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী:
● ২২ মার্চ জনতা কার্ফিউ ছিল। সবাই সেটা মেনেছেন দেখে আমি খুশি। ছোট–বড়, ধনী–গরীব একসঙ্গে একভাবে আমার কথা শুনেছেন। সফল করেছেন কার্ফিউকে। তার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
● ভারত দেখিয়ে দিল, যখন দেশে সঙ্কট আসে, তখন সবাই মিলে মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে।
● করোনা মহামারীর সম্পর্কে জানছেন সোশ্যাল মিডিয়া বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে। আপনারা জানতে পারছেন, দুনিয়ার শক্তিশালী দেশকেও এই একটি ভাইরাস দুর্বল করে দিয়েছে। এমন তো নয় যে কেউ চেষ্টা করছেন না। সবাই চেষ্টা করছেন। চেষ্টায় কোনও খামতি নেই। কিন্তু করোনা এত বেগে ছড়াচ্ছে, এই দেশগুলো কিছুই করতে পারছে না।
● ‘সোশ্যাল ডিসটেনসিং’ ছাড়া আর কোনও উপায় এখনও অবধি বেরোয়নি। ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতে হবে এই ভাইরাসকে। সংক্রমণের চেইন ভাঙতে হবে। কেউ ভাবছেন, সোশ্যাল ডিসটেনসিং শুধু আক্রান্তদের জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু তা নয়, সকলের জন্য বলা হচ্ছে এটা। কারওর ভুল ধারণা, কারওর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আপনার পরিবার, বন্ধু, এমনকি পুরো দেশকে বড় সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। যদি এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা চলকে থাকে, তাহলে ভারতকে তার হিসেব চোকাতে হবে।
● গত দু’দিন ধরে দেশের বহু জায়গায় লকডাউন শুরু হয়েছে। সেই সেই রাজ্য সরকারের এই প্রয়াসকে মানুন আপনারা সবাই।
● আজ রাত ১২ টা থেকে পুরো দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে ২১ দিন ধরে। সবাইকে বাঁানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘর থেকে বেরোনো যাবে না। সব রাজ্যকে, কেন্দ্র শাসিত প্রদেশকে লকডাউন করা হবে। একে একপ্রকার কার্ফিউ বলতে পারেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এই লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি দেশকেই চোকাতে হবে। কিন্তু দেশবাসীর প্রাণ বাঁচানোটা এখন আমার সবথেকে বড় দায়িত্ব। প্রার্থনা করছি, দেশে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন।
● আমি আগেরদিন ভাষণ দেওয়ার সময়ে বলেছিলাম, আপনাদের থেকে কয়েকটা সপ্তাহ চাই আমার। সেটাই চাইলাম এবার। ২১টি দিন। ৩টি সপ্তাহ। আপনাদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ, যাই হয়ে যাক, ঘর থেকে বেরবেন না।