দেশের সময় ওয়়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্যই মূলত এ বার দিল্লি সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার বিকেল ৫ টায় ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে হবে সেই বৈঠক। তবে সেই সাক্ষাতের বিষয় কী হবে তা নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়েছে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে।
সাধারণত প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে প্রশাসনিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু দুই রাজনৈতিক চরিত্রের যখন বৈঠক হয়, তখন রাজনীতির বিষয়আশয় অবধারিত ভাবেই উঠে আসার সম্ভাবনা থাকে। নবান্নের প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকের মতে, এ বারের বৈঠকে প্রাধান্য পাবে রাজ্যের আর্থিক দাবি দাওয়ার বিষয়গুলি। বহু প্রকল্প খাতে রাজ্যের বকেয়া পাওনা রয়েছে। সেই সঙ্গে জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ এখনও পুরোটা পায়নি রাজ্য। আর এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তো বাংলার অর্থমন্ত্রী।
বিরোধীরা অবশ্য অনেকেই এই বৈঠককে অন্য প্রেক্ষাপটে দেখতে চাইছেন। যেমন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, এতদিনে স্পষ্ট যে মোদী-দিদি সেটিং আছে। দিল্লি আমার বাংলা তোমার। একদিকে চিটফান্ড, কয়লা পাচার নিয়ে তদন্ত থেমে গেছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তরপ্রদেশে গিয়ে মোদী বিরোধী ভোট ভাগাভাগির চেষ্টায় নেমেছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূল-বিজেপি যে কুস্তি হচ্ছে সেও সাজানো।
বিরোধীরা এ সব বলতেই পারেন। তবে এখন দেখার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন!
অন্যদিকে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকাকালীন চলছে তৃণমূলে যোগদানের কর্মসূচিও। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পবন বর্মা, কীর্তি আজাদ, অশোক তানওয়ারের মতো ব্যক্তিত্ব। অশোক তানওয়ার একসময় হরিয়ানায় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। অশোক তানওয়ারের যোগদানের পরেই মমতা বলেন, “আমি হরিয়ানা যেতে চাই, অশোকজি আমায় যখন ডাকবেন তখনই যাব।”