দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোভিডের দ্বিতীয় কামড়ে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত ভারতে। দৈনিক সংক্রমণ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে স্থলপথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করল পড়শি বাংলাদেশ। সোমবার থেকে আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সমস্ত সীমানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যবাহী গাড়ির যাতায়াত চলবে, জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল থেকে আকাশ পথেও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার সকাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন দপ্তরের সামনে বাংলাদেশগামী যাত্রীদের লম্বা লাইন, তাঁরা বাংলাদেশ ফিরবে বলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে কেউ চিকিৎসা কেউবা ব্যাবসার কাজ মিটিয়ে এদিন সকাল সকাল পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছালেও ভিসা থাকা সত্ত্বেও কোন যাত্রীকেই বাংলাদেশ প্রবেশের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বহু যাত্রী৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে এসেছিলেন আশাদুল মন্ডল,তিনি বলেন চিকিৎসার প্রয়োজনে পনেরো দিনের ভিসা পেয়ে এপার বাংলায় এসেছিলাম আজই ভিসার শেষদিন ছিল, আজ দেশে ফিরতে পারলাম না, হাতে সামান্য যাতায়াতের জন্য টাকা রয়েছে, কি করব বুঝত্তে পারছিনা।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বাণিজ্য ভিত্তিক কোন সমস্যা এখনও পর্যন্ত হয়নি, বাংলাদেশে লকডাউন এর জেরে,তবে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার তার জন্য সোমবার সকাল থেকে সীমান্তে অসংখ্য বাংদেশের যাত্রীরা আটকে পড়েছেন ভারতে।এটা সম্পূর্ণ ভাবে সে দেশের সিদ্ধান্ত বলে জানতে পেরেছি অভিবাসন সূত্রে ।এর ফলে অনেক যাত্রীই সমস্যায় পড়বে বলে ধারনা।
ভারতকে ইতিমধ্যেই লাল তালিকাভুক্ত করেছে ব্রিটেন। ইটালিও সমস্ত রকম যোগাযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন রাখার কথা জানিয়েছে। শনিবার সুইৎজ়ারল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে টুইটে বলা হয়, ‘ভারতীয় স্ট্রেইনের হদিশ মিলেছে সুইৎজ়ারল্যান্ডে। ইউরোপীয়ান বিমানবন্দর থেকে সুইৎজ়ারল্যান্ডে আসা এক যাত্রীর শরীরে অভিযোজিত ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে।’ সে দেশও ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করার কথা ভাবছে, সূত্রের খবর।