দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ আগামীকাল ২২ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে। পরীক্ষা হয়নি করোনা আবহে, তাই মাধ্যমিকের মতোই বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ণের ব্যবস্থা করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকেরও। আগামী কাল দুপুর ৩টেয় সেই মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশিত হবে। এক ঘণ্টা পর, বিকেল ৪টে থেকে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ফলপ্রকাশের পরের দিন, অর্থাত্ আগামী ২৩ জুলাই সকাল ১১টা থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে মার্কশিট সার্টিফিকেটের সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ডও দেওয়া হবে। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে আগে অ্যাডমিট পাননি পরীক্ষার্থীরা।
যে ওয়েবসাইটগুলি থেকে ফল জানা যাবে–
https://www.results.shiksha/
http://wbresults.nic.in/
https://www.exametc.com
https://www.westbengal.shiksha
https://www.indiaresults.com
https://www.jagranjosh.com
অথবা এমএমএস করা যাবে- WB12 space দিয়ে পাঠান ৫৬০৭০ নম্বরে।এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯ লক্ষ। তাঁদের মার্কশিট তৈরি হবে মাধ্যমিক, একাদশের বার্ষিক এবং দ্বাদশের প্রাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টের নম্বরের ভিত্তিতে। নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষায় বসার সুযোগও মিলবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ আগেই জানিয়েছিল যে, মার্কশিট তৈরির ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের মাধ্যমিকের ৪টি বিষয়ের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর থেকে নেওয়া হবে ৪০% ওয়েটেজ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা থেকে নেওয়া হবে ৬০% নম্বরের ওয়েটেজ। সেই সঙ্গে যুক্ত হবে দ্বাদশের ৩০ নম্বরের প্র্যাক্টিক্যাল বা ২০ নম্বরের প্রজেক্ট।
কীভাবে হবে এই হিসেব?
মাধ্যমিকে যে কোনও বিষয়ে পাস নম্বর হল ৪০, একাদশের থিওরিতে যে কোনও বিষয়ে পাস নম্বর হল ৬০। কাজেই কোনও ছাত্র পাস মার্কের ওপরে যত নম্বর পাবে তার শতাংশের হিসেব বের করে প্র্যাকটিকালে পাওয়া নম্বর যোগ করে মোট নম্বর ধার্য করা হবে।
সহজ করে বললে, ধরা যাক মাধ্যমিকের মোট নম্বর A, একাদশের বার্ষিক থিওরির মোট নম্বর B এবং প্র্যাকটিকালের মোট নম্বর C। তাহলে উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্র বা ছাত্রীর মোট নম্বর হবে এই তিনটি যোগ করে অর্থাৎ (A+B+C)।
এবার ধরা যাক, কোনও ছাত্র বা ছাত্রী মাধ্যমিকের ৪টি বিষয়ে মোট ৪০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ নম্বর পেয়েছে, একাদশের বার্ষিক পরীক্ষায় থিওরিতে ৭০ নম্বরের মধ্যে ৫০ পেয়েছে এবং প্র্যাকটিকালে ৩০ নম্বরের মধ্যে ২৮ পেয়েছে, তাহলে তার মূল্যায়ন করার জন্য একটা অঙ্ক কষতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদ একটা ফর্মুলা দেখিয়েছে।
সেটা হল:
মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে পাস নম্বর হল ৪০। যদি থিওরি ৭০ নম্বরের হয় তাহলে নম্বর বের করতে হবে– ৭০ এর ৪০% =২৮। এর মানে হল মোট যত নম্বরে পরীক্ষা তার পাস মার্কের হিসেবে একটা মান বের করা হল।
মাধ্যমিকে পাস মার্কের ভিত্তিতে একটা মান ধরে নেওয়া হচ্ছে ২৮, এবার যদি কেউ ৪টি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের মধ্যে মোট ২০০ পায়, তাহলে তার প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে ২০০/৪০০, মানে মোট নম্বরের মধ্যে যত পেয়েছে, এর সঙ্গে ২৮ নম্বরকে গুণ করতে হবে। অর্থাৎ ২৮* ২০০/৪০০=১৪ (A)। এখন যদি কেউ ৩০০ পায়, তাহলে প্রাপ্ত নম্বর হবে ২৮* ৩০০/৪০০। এইভাবে হিসেব করতে হবে।
একাদশের ক্ষেত্রেও তাই। সেখানেও যদি মোট নম্বর ৭০ ধরে নেওয়া যায় আর পাস নম্বর ৬০%, তাহলে হিসেবটা হবে ৭০ এর ৬০%=৪২
এখানে এই ৪২ মানটাকে ধরে নিতে হবে। তাহলে যদি কেউ ৭০ নম্বরের মধ্যে ৫০ পায় তাহলে তার প্রাপ্ত নম্বর হবে ৪২৫০/৭০=৩০ (B)। যদি ৭০ নম্বরের মধ্যে ৬০ পায় তাহলে হবে ৪২৬০/৭০। এইভাবে হিসেব হবে।
আর প্র্যাকটিকালে যদি ৩০ এর মধ্যে ২৮ (C) পায় তাহলে সবমিলিয়ে A+B+C= ১৪+৩০+২৮=৭২ (এটা উদাহরণের হিসেবে)। এইভাবে তিন ক্যাটেগরিতে নম্বর নিয়ে একসঙ্গে যোগ করতে হবে।
প্র্যাকটিকাল ছাড়া মানে নন-ল্যাব বিষয় যেগুলো আছে, সেখানে থিওরির জন্য মোট নম্বর ৮০ ও প্রোজেক্টের মোট নম্বর ২০ ধরে নিয়ে একইভাবে হিসেবটা করতে হবে। সেক্ষেত্রে মোট নম্বর ও তার সঙ্গে পাস মার্কের হিসেবটা একই ভাবে হবে, ওপরে দেখানো পদ্ধতিতে। একটা মান বের হবে। এবারে ছাত্রছাত্রী মোট নম্বরের মধ্যে কত পেয়েছে সেটা ওই মানের সঙ্গে হিসেব করতে হবে। থিওরি ও প্রোজেক্টের মোট নম্বর যোগ করে মূল্যায়ন করা হবে।