আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো…
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/11/DSPHOTO-GALLERY02-1068x623-1-1024x597.jpg)
গতকাল সঠিক সময়েই কলকাতা এয়ারপোর্টে নেমে কলকাতা প্রেস ক্লাবে হিলটনকে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ ওকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর জন্য সুন্দর ব্যবস্থাও করে রেখেছিলো। ঘটনার আকস্মিকতা ও শোকে বিধ্বস্ত ওর পরিবার বোধয় ভিতরে যেতে চাইছিলো না। তাই গাড়ির ভিতর থেকেই শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলাতে আমরা সবাই তাই করেছি। এয়ারপোর্টেও অনেকে গিয়েছিলেন।
মিনিট দশেক পর হিলটন চলে গেলো। ওর গাড়িটা হাজার গাড়ির ভিড়ে বিলীন হয়ে গেলো শেষবারের মতো। আর কোনোদিন ফিরবে না। সবাই আমরা চুপচাপ। কেউ কারো সাথেই কথা বলার মত অবস্থায় ছিলোনা। ওর পরিবারের আপত্তি ছিলো হিলটনের এরকম ছবি তোলাতে, তাই আমরা কেউ ছবি তুলিনি। সবাই পরপর ওকে শেষশ্রদ্ধা ও প্রণাম জানানো হলো। আমি বাড়ি ফিরে এলাম। এবার মনে হচ্ছে, হিলটন আর নেই। ওকে আর কখনো দেখতে পাবো না। ও সত্যিই চলে গেলো আমাদের ছেড়ে চিরদিনের মত। মেসেজ এসেই যাচ্ছে। মাঝেমাঝে ফোন। সেই একই কথা। আর ভালো লাগছে না। কেমন একটা মনে হচ্ছিলো। তাই ফোনটা অফ করে দিয়েছিলাম কাল।
প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ হিলটনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তারা আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃতজ্ঞতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও সেইসব সরকারি আধিকারিকদের যাদের সহযোগিতা ছাড়া এতো সুষ্ঠভাবে হিলটনকে নিয়ে আসা সম্ভব ছিলো না।
কাল রাত ১২.৪৫ নাগাদ ওর শেষকাজও মিটে গেছে। আজ ওর পারলৌকিক কাজ হবে ওখানেই এক কালীমন্দিরে।
বাউন্ডুলে হিলটন একেবারেই বাঁধনছিঁড়ে বাউন্ডুলে হয়ে গেলো।