দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : বিজেপির পার্টি অফিস ও পাঁচ নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগরে। কিন্তু হামলা করল কারা? এই প্রশ্নে আক্রান্তদের মধ্যে থেকেই দুরকম কথা উঠে এসেছে।
একাংশের নেতা বলছেন, তৃণমূলের লোকজন হামলা করেছে। কয়েকজন আক্রান্ত আবার বলছেন, তাঁরা আদি বিজেপি বলে তৃণমূল থেকে নতুন আসা লোকজন এই হামলা চালিয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের অশোকনগরের যুব নেতা প্রদীপ সিং অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিজেপির দলীয় কোন্দলের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দুষ্কৃতী। তারা এতদিন এলাকাছাড়া ছিল। এখন বিজেপিতে এসে তারাই ঝামেলা করছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে। অশোকনগর স্টেশন লাগোয়া বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি পতাকা পোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বিজেপি কর্মীরা । খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, দলীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দুই যুবক রয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে যাদের ইদানিং যোগসাজশ রয়েছে। দলীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান অশোকনগর আশ্রাফাবাদ এলাকার বিজেপি নেতাকর্মীরা। অভিযোগ, সেই সুযোগে রাত সাড়ে ন’টা থেকে দশটা নাগাদ কুড়ি পঁচিশ জনের একটি দল অশোকনগর আশ্রাফাবাদ এলাকার বিজেপির ২৫৪ নম্বর বুথের সভাপতি প্রদীপ সরকার, ২৫৬ নম্বর বুথের সভাপতি রমেন বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা করে। মারধর করা হয় পরিবারের সদস্যদের।
বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাতে এলাকার বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকারের বাড়িতে হামলা করা হয়। মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রী, বিজেপির মহিলা নেত্রী মালা সরকারকে। তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়ে রুশাকেও মারধর করা হয়েছে। তার চোখে আঘাত লেগেছে। তাকে চিকিৎসক দেখানো হচ্ছে। রুশার আগে থেকেই চোখের সমস্যা ছিল। লেন্স বসানো ছিল। সেখানেই নতুন করে আঘাত লেগেছে। ওই এলাকায় বিজেপির কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাটআউট ভাঙা হয়েছে। দলীয় পতাকা-ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
২৫৫ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি গৌতম আইচের বাড়ি লাগোয়া বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় ওই দুষ্কৃতী দল। ভাঙচুর করে ছিঁড়ে ফেলা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাট আউট ও দলীয় কার্যালয়ের বেড়া। এ ছাড়াও দুই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সোমনাথ প্রামানিক ও গৌতম ঘোষালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের চিকিত্সা চলছে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।