দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সংসদে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে হিংসাত্মক আন্দোলন। বুধবার অসমে নামাতে হয়েছে সেনাবাহিনী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে অসমীয়াদের উদ্দেশে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, “আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে চাই, কেউ আপনাদের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। আপনাদের নিজস্ব পরিচিতি ও উন্নত সংস্কৃতি অক্ষুণ্ণ থাকবে। দিনে দিনে তা আরও বিকশিত হয়ে উঠবে।”
এর পরে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ও আমি নিজে আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই, অসমের রাজনৈতিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও জমির অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।”
I want to assure my brothers and sisters of Assam that they have nothing to worry after the passing of #CAB.
I want to assure them- no one can take away your rights, unique identity and beautiful culture. It will continue to flourish and grow.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 12, 2019
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্ব ভারত। বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে অসম, ত্রিপুরায়। বিরোধীদের তীব্র আপত্তির মধ্যে বুধবার সংসদের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। গতকাল লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তারপরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। বিক্ষিপ্তভাবে হিংসাত্মক ঘটনার খবর সামনে আসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ত্রিপুরায় গুলি চালিয়েছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে জারি হয়েছে কার্ফু। বহু জায়গায় ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। দুই রাজ্যেই নেমেছে আধাসেনা।
বুধবার রাত থেকেই গুয়াহাটির রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন প্রায় দশ হাজার মানুষ। হাত কেটে পোস্টার লিখে স্লোগান তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। রাজধানী দিসপুরের সচিবালয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলেন প্রতিবাদীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বঙ্গাইগাঁও ও ডিব্রুগড়ে দু’কলাম সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তা ছাড়া এ ছাড়া জোরহাট ও তিনসুকিয়ায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গুয়াহাটি এবং ডিব্রুগড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। যে কোনও ধরনের জমায়েত, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অসমের তিনসুকিয়া, কামরূপ, গোলাঘাট, দিসপুর, ধেমাজি, শিবসাগর, জোরহাট-সহ একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নানারকম গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় অসম সরকারের মিনিস্ট্রি অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর তরফ জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। আজ সন্ধে পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে বলে খবর। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।