অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই টিম, কয়লা কাণ্ডে তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে নোটিস,প্রশ্ন লেনদেন নিয়ে

0
1437

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবাসরীয় দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডের সূত্রে নোটিস দেওয়া হয়েছে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে।
সম্প্রতি একটি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, বেআইনি কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা অনুপ মাঝি তথা লালা ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা ট্রান্সফার করতেন। শুভেন্দুর স্পষ্ট অভিযোগ, থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে কাসিকর্ণ ব্যাঙ্কে ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে দৈনিক দেড় লক্ষ থাই মুদ্রা ট্রান্সফার করা হত।

সিবিআই সূত্র অবশ্য স্পষ্ট করে তা বলেনি ঠিকই। কিন্তু সূত্রের দাবি, কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁরা তদন্তে জানতে পেরেছেন। সেই সূত্রেই তাঁরা রুজিরাকে জেরা করতে চান।তবে সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, রুজিরাকে ফৌজদারি আইনের ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসাবে জেরা করতে চান তাঁরা। রুজিরাকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে না। সেখানে তাঁকে তলব করা হয়নি। তাঁর বাড়িতে বা তাঁর পছন্দমতো জায়গায় সিবিআই গোয়েন্দারা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। নোটিসের সঙ্গে সিবিআইয়ের এক গোয়েন্দার নম্বরও দেওয়া হয়েছে। যাতে সেই নম্বরে ফোন করে রুজিরা জানাতে পারেন, কখন তিনি গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।

নোটিস দেওয়া হয়েছে অভিষেকের শ্যালিকাকেও। ঘটনাচক্রে এই নোটিসের ২৪ ঘণ্টা আগেই অভিষেকের করা একটি মামলাতেই কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে বিধাননগরের বিশেষ আদালত ৷

বেআইনি কয়লা পাচার নিয়ে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে তদন্তে তৎপর সিবিআই। ওই কাণ্ডে ইসিএলের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এফআইআর করা হয়েছে লালার বিরুদ্ধে। সিবিআই এফআইআরেও জানিয়েছে, বেআইনি কয়লা কাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা ছিল লালা।


কিন্তু সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়ার পর থেকেই লালা ফেরার। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। লালার পাশাপাশি বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রকেও খুঁজছে সিবিআই। বিনয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নেতা বলে বাংলার রাজনীতিতে অনেকের কাছে সুবিদিত। বিনয় মিশ্রর বাড়ি ও অফিসে আগেই তল্লাশি করেছে সিবিআই। তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছে। কিন্তু বিনয়ও ফেরার বলে মনে করা হচ্ছে।


এমনিতেই কালীঘাটে অভিষেকের বাড়ির সামনে পুলিশি নিরাপত্তা ও মোতায়েন উল্লেখযোগ্য ভাবেই থাকে। এদিন সিবিআই গোয়েন্দারা যখন নোটিস দিতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁদের বলা হয় যে বাড়িতে কেউ নেই। তবে সিবিআই গোয়েন্দারা বাড়িতে নোটিস দিয়ে এসেছেন বলেই জানা গিয়েছে।

Previous articleফোটো ফাইট:PHOTO FIGHT- EDITOR’S CHOICE
Next articleজেলায় জেলায় রুটমার্চ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here