দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই আবহে আপাতত বেশ কয়েকটি সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। এহেন অবস্থাতেই প্রায় ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনেক সময় অনেক অভিযোগ উঠেছে। স্বচ্ছ ও দ্রুত নিয়োগের দাবি নিয়ে অনশনও করেছেন পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, প্রায় ২০ হাজার পরীক্ষার্থী টেট পাশ করেছে। ১৬ হাজার ৫০০ আসন আছে। কোভিড একটু কমলেই আগামী দু’মাসের মধ্যে এই নিয়োগ হয়ে যাবে। ডিসেম্বর মাস থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই ১৬ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পরে যে সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষার্থী বাকি থাকবেন, মানে যাঁরা টেট পাশ করেছে, তাঁদেরও ধাপে ধাপে নিয়োগ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এছাড়া আরও প্রায় আড়াই লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, তাঁরা তৃতীয়বারের জন্য টেট দিতে চান। তাই শিক্ষা দফতর ঠিক করেছে তাঁরা চাইলে অফলাইনে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই পরীক্ষা হবে। তারপরে নতুন শূন্যপদ হলে সেখানে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এই মুহূর্তে টেট পাশ করে রয়েছেন ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ১৬ হাজার ৫০০ পোস্ট এই মুহূর্তে খালি রয়েছে। এই নিয়োগ হয়ে যাবে। কোভিড একটু কমলেই ডিসেম্বর, জানুয়ারির মধ্যে এই নিয়োগ হয়ে যাবে।
বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের দেখা গিয়েছে আন্দোলন করতে। অবস্থা এমন হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এসে আশ্বাস দেওয়ার পরে আন্দোলন উঠেছে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বারবার শিক্ষা দফতরে আবেদন করেও কোনও সুরাহা হয়নি।
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে, স্বচ্ছ ও দ্রুত নিয়োগের চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের করা মামলা ও অন্যান্য আইনি জটিলতার মধ্যে পড়ে এই নিয়োগে দেরি হয়। অবশ্য এই বিবাদের মধ্যেই এবার নতুন নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।